করোনা আবহে সংক্রমণ ঠেকাতে বহু রাজ্যেই জারি হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু। সেই রাজ্যগুলির তালিকাতে রয়েছে ত্রিপুরার নামও। সেখানেই নৈশ কার্ফু অমান্য করে হচ্ছিল একটি বিয়ের অনুষ্ঠান। আর সেখানেই অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলেন আগরতলার জেলাশাসক। বিয়েবাড়ি থেকে বেশ কয়েকজন গ্রেফতারের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। পাশাপাশি ওসিকে সাসপেনড করা হয়। তবে জেলাশাসকের আচরণ ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। এরপরই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
এদিকে নিজের 'ভুল' বুঝতে পেরে ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক ও কালেক্টর শৈলেশ কুমার যাদব। বিয়েবাড়িতে তাঁর 'অভিযান' প্রসঙ্গে যাদব বলেন, 'আমার এই আচরণে কেউ আঘাত প্রপ্ত হয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে এমনটা করেছিলাম। সবাইকে একটাই বার্তা দিতে চেয়েছিলাম, যে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধগুলি মেনে চলুন।'
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব সোমবার আগরতলার দু'টি বিয়েবাড়িতে পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালান। সেই অভিযানের ভিডিয়ো দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। জেলাশাসকের অভিযান ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। জেলাশাসকের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে চিঠি লেখেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায় জেলাশাসকের নির্দেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে এবং বিয়েবাড়িতে আগতদের গ্রেফতার করছে। বিয়েবাড়িতে আগতদের ধমক দিতেও দেখা যায় শৈলেশ কুমার যাদবকে। ভিডিয়োতে দেখা যায়, বিয়েবাড়িতে উপস্থিত এক মহিলা জেলাশাসককে অনুমতিপত্র দেখাতে এলে তিনি ওই কাগজ ছিড়ে ফেলেন। শুধু তাই নয়, অপর এক বিয়েবাড়িতে বরকে ঘাড় ধাক্কাও দেন শৈলেশ কুমার যাদব।