প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
ত্রিপুরায় বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষকে ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে ও ১২জন জখম হয়েছেন। ত্রিপুরার চারিলাম এলাকার ঘটনা। আগরতলা থেকে প্রায় ২৭ কিমি দূরে এই এলাকা। উপমুখ্য়মন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার খাসতালুকে এই ঘটনাকে ঘিরে একেবারে তুলকালাম কাণ্ড!
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন চারিলাম এলাকায় এই সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সিপিএমের একটি কর্মসূচিতে আচমকাই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
এদিকে কোনও দলের পক্ষ থেকেই অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে উভয় দলই অভিযোগ জমা দেওয়ার তোড়জোড় করছে বলে খবর।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এদিন জখম পার্টি কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান। ৭৬ বছর বয়সী সিপিএম সমর্থক শহিদ মিঁয়ার মাথায় আঘাত লেগেছিল, পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
সিপিএম নেতার দাবি, উপমুখ্য়মন্ত্রী এই হামলার পেছনে রয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে এলাকায় আমাদের পার্টি অফিসগুলি বন্ধ রয়েছে। সেগুলি খোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তখনই হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে পরে তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী হাসপাতালে যান। তিনি জানিয়েছেন, গভীর ষড়যন্ত্র এটা। সিপিএম নিজেরাই এসব করে বিজেপির উপর দোষ চাপিয়েছে। ভোটের আগে এসব করতে চাইছে তারা।
তাঁর দাবি, বিজেপি কর্মীদের উপরেই সিপিএম হামলা চালিয়েছে। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে তিনি এনিয়ে শোক প্রকাশ করেন।
তাঁর মতে, একের পর ব্যক্তিকে বাম জমানায় খুন করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে খুন করাটা সিপিএমের কাছে বড় কিছু নয়।
প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সরকারও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণা দেববর্মা আগেই জানিয়েছিলেন, বিশালগড় থেকে কেউ যদি দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসার চেষ্টা করে তবে আমাদের কার্যকর্তারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করবেনই।