ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ পবিত্র করের বাড়িতে হানা দিলেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তকারী অফিসাররা। পবিত্র করের আগরতলা এবং খেয়াপুরের বাড়িতে এই হানা চালায় ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্যরা। শুক্রবার এই হানা দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয়ে তল্লাশি চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে ২ জুলাই বোধজুংনগর পুলিশ থানায় পবিত্র করের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রুজু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীরা জাবি করছেন যে পবিত্র কর বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ ২৮ কোটি টাকা কারচুপি করেছেন। পবিত্র কর এর আগে ১৯৯৮ এবং ২০০৩ সালে রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিধায়ক ছিলেন।
এই তল্লাশি অভিযান সম্পর্কে এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, 'ভিজিলেন্স বিভাগের দ্বারা পবিত্র করের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত ২৮ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।' তল্লাশিতে প্রায় ৩০টি নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী অফিসার। তার মধ্যে অেক সম্পত্তির নথি অন্য ব্যক্তির নামে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অফিসার জানান, যদি আমরা নথি থেকে কিছু পাই তাহলে পবিত্র করকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠানো হবে।
তল্লাশির পর পবিত্র কর সাংবাদিকদের জানান যে তদন্তকারী দল তাঁর সম্পত্তি, বউয়ের সাড়ি এবং গয়নার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন ও বিশদ তথ্য জানতে চান। তিনি বলেন, 'আমার ব্যাঙ্কের পাস বই, বাড়ির দলিল, নথি বাজেপাপ্ত করে তালিকা দিয়ে যায়। তাঁরা তদন্ত করছে। আমি দুই দশক ত্রিপুরায় বিধায়ক থেকেছি। রাজ্যের মানুষ আমাকে চেনে।' তিনি দাবি করেন, তাঁর মূল আয়ের সূত্র বিধায়ক থাকার দরুণ পাওয়া পেনশন। তাছাড়া পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে তার ধান ক্ষেত এবং রাবার প্ল্যান্টেশন রয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে আখ্যা দেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা মানুক সরকার। এদিকে বিজেপির তরফে দলীয় মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, 'তিনি দোষী হলে সাজা পাবেন। আই আইনের পথে চলবে।'