লকডাউনের কারণে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি এবং একাদশ শ্রেণির সব পড়ুয়াকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা সরকার।
ত্রিপুরা সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, লকডাউনের আগে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির যে সব ছাত্র পরীক্ষা দিয়েছিল তাদের সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, লকডাউনের ফলে একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সোশিওলজি, স্ট্যাটিসটিক্স ও মিউজিক অর্থাৎ সমাজতত্ত্ব, সংখ্যাতত্ত্ব ও সংগীতের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই পরীক্ষাগুলি আর নেওয়া হবে না। এই তিন বিষয়ে ছাত্রদের হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষার ফলের উপরে নির্ভর করবে পাশ করা। শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে স্কুলের হেডমাস্টারদের ছাত্রদের মার্কশিট রাজ্য শিক্ষা দফতরের অ্যাপে আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক ও স্কুল ইনস্পেক্টররা।
তবে কলেজ পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা দফতর, জানিয়েছেন মন্ত্রী। ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: লকডাউনে পড়ুয়াদের ক্ষতি রুখতে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার পরিকল্পনা কেন্দ্রের
ত্রিপুরা উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনে ২২টি জেনারেল ডিগ্রি কলেজ এবং সাতটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে মহারাজা বীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়-সহ এই সমস্ত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য গুগল ক্লাস, আপগ্রেড পোর্টাল ও হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। এমনকি সেমেস্টার ও বিষয়ের ভিত্তিতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শিক্ষকরা, জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের জন্য স্টাডি মেটিরিয়াল জোগাতে ওয়েব পোর্টাল আনছে কেন্দ্র
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ১৪টি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে স্কুলপড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা।
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে আগরতলার ১৩টি কেন্দ্রে, জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে ২২ এপ্রিল থেকে ত্রিপুরার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা শুরু হওয়ার যে ঘোষণা করা হয়েছিল, তা লকডাউনের কারণে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।