ট্রাফিক পুলিশের হাতে দুই পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগে ঘিরে তাপ বাড়তে থাকে ত্রিপুরায়। ঘটনার প্রতিবাদে ফেটে পড়ে 'ত্বৈপরা স্টুডেন্টস ফেডারেশন'।ওই মারধরের ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তাঁরা বনধরে ডাক দেয় সোমবার। তবে ওই মারধরের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করা হবে, এমন আশ্বাস বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা সরকারের থেকে পাওয়ার পর সোমবারের বনধ তুলে নেয় সংগঠন।
টিএসএফের তরফে এদিন ত্রিপুরা জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়। এরপর ত্রিপুরা সরকার গোটা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানায়। বিপ্লব সরকারের তরফে এই আশ্বাসবাণী পেয়েই ১২ ঘণ্টার বনধ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিএসএফএর নেতা উপেন্দ্র দেববর্মা। উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত গত ১৩ জানুয়ারি। যেদিন অ্যাঞ্জেল রিয়াং ও অভিজিৎ দেববর্মা নামে দুই পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, আগরতলা সার্কিট হাউসের কাছে যে রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কনভয় যাওয়ার কথা ছিল সেখানেই ওই দুই পড়ুয়ার মোটর সাইকেল ভেঙে যায়। তারপরই ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা গড়ায় উত্তেজনার পর্বে। এরপরই টিএসএফ দাবি করেছে যে, অবিলম্বে ওই অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মামলা দায়ের করা হোক। বিষয়টি নিয়ে ত্রিপুরা মন্ত্রিসভার সুশান্ত চৌধুরী কথা বলেন বিক্ষোভরত টিএসএফ পড়ুয়াদের সঙ্গে।
রবিবারের আলোচনার পর সোমবারের বনধরে রাস্তা থেকে সরে আসে পড়ুয়ারা। তবে টিএসঅফের তরফে উপেন্দ্র দেববর্মা জানিয়েছেন,'লাঞ্ছিত শিক্ষার্থীদের দায়ের করা অভিযোগের নথিভুক্ত করা, ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত এবং শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা আমাদের দাবি।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর গভীর রাতে আমাদের মামলা দায়ের করা হয়। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারও নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব আশ্বাস পেয়ে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছিলাম।' তবে তার সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন যে আগামী তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত তাঁরা গোটা বিষয়টিতে সরকারি পদক্ষেপ কী হচ্ছে, তা নজরে রাখবেন। লক্ষ্য রাখবেন , তাঁদের দাবি মানা হচ্ছে কি না। দাবি মানা না হলে, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন টিএসএফ-এর এই নেতা।