ত্রিপুরায় চার তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তির পরিচিতি ইস্যুতে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়েছে সেখানের রাজনীতি। ঘটনার পর চার দিন কেটে গিয়েছে। এবার এই ইস্যুতে তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন ত্রিপুরর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বাম শিবিরের তরফে মানিক সরকার এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের দাবিতে গর্জে উঠেছেন।
অভিযোগ, পরিচিতি জানতে চেয়ে বিবস্ত্র করে চারজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে হেনস্থা করেছে পুলিশ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে চার দিন আগেই সরব হয়েছেন তাঁরা। এই ইস্যুতে ত্রিপুরায় বিজেপির বিরোধী শিবির বামেদের তরফে মানিক সরকার গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পদক্ষেপ দাবি করেছেন। এছাড়াও এক সচিব পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত এই ইস্যুতো করা হোক বলেও সরব হয়েছেন মানিক সরকার। সেই তদন্তের ভিত্তিতে দোষীকে কঠোর শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন মানিক সরকার। গোটা ঘটনাকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও রাজ্যের ক্ষমতার অপমানস্বরূপ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে মানিক সরকারের দাবি, তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের যাতে মর্যাদা ও উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয় রাজ্যে, তার জন্য ত্রিপুরা সরকারের সচেষ্ট হওয়া উচিত। উল্লেখ্য, পশ্চিম আগরতলা স্টেশনে তৃতীয়লিঙ্গের চারজনের মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার ঘটনা নিয়ে একটি চিঠিতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন দাপুটে বাম নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
এদিকে, এর আগে এই ইস্যুতে পুলিশ যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। পুলিশের দাবি, অভিযোগকারীরা পুরুষ বলে নিজেদের আগেই দাবি করেছিল। জানা গিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে একটি হোটেলের একটি পার্টি থেকে ফিরছিলেন ওই চারজন। এরপর তাঁদের মাঝ রাস্তায় পুলিশ আটকায় বলে অভিযোগ। ওই চারজনের অভিযোগ, তাঁদের পরিচিতি জানতে চেয়ে তাঁদের পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও বহুক্ষণ ধরে শীতের ঠাণ্ডায় থানায় মাটিতে বসিয়ে রাখা হয়। চাইলেও মেলেনি খাবার বা জল। এদিকে, পুলিশের বক্তব্য, এই চারজনের পরিচিতি পুরুষ হিসাবে। তাঁরা মহিলাদের পোশাক পরে এলাকায় বহু পুরুষের থেকে টাকা তুলছিলেন। পুলিশের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'তদন্তে তাঁরা সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি। ফলে তাঁদের পশ্চিম আগরতলা পুলিশ স্টেশনে আনা হয়। সেখানে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ নম্বর ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।'