গতকালই ত্রিপুরা বিধানসভা ও বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছেন সুদীপ রায় বর্মণ ও আশীষ সাহা। এরপরই তাঁরা দিল্লি রওনা দিয়েছিলেন। আর মঙ্গলবার সকাল সকাল এই দুই নেতাকে দেখা গেল রাহুল গান্ধীর বাসভবনে। সকাল ন’টার কিছু পরে সেখানে পৌঁছে যান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। সুদীপ-আশীষ বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল তাঁদের কংগ্রেস যোগ নিয়ে। আর এদিন সুদীপ-আশীষ নিজেদের পুরোনো দলে ফিরে গিয়েছেন বলে জানাল সংবাদ সংস্থা এএনআই।
একদা হাত শিবিরের মুখ সব ফুল ঘুরে ফের কংগ্রেসের সঙ্গেই হাত মেলালেন। এখন সবার নজর, তাঁর সঙ্গে আর কতজন বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসমুখী হন। গতকাল দল ছাড়ার পরই সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লোপ পাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সুদীপ। তবে আপাতত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সুদীপের দলত্যাগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র মুখ খুলেছেন একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সুশান্ত চৌধুরী। বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত সুদীপের বক্তব্যের নিন্দা জানান গতকাল।
এর আগে গতকাল বিধানসভা এবং দল থেকে পদত্যাগ করার পরে সুদীপ রায় বর্মণ বলেছিলেন, ‘আমরা আজ বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। আমরা বিজেপিতেও আমাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। রাজ্যে এক ব্যক্তির শাসন চলছে। জনগণের দুঃখ তাঁদের হৃদয় স্পর্শ করেনি। যেহেতু আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি, আমরা এটি আর সহ্য করতে পারি না।’
আগামী দিনে আরও অনেকে তাঁর পথ হেঁটে দল ছাড়বেন বলেও দাবি করেছিলেন সুদীপ। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা পর্যায়ক্রমে করা হবে। দেখবেন বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে বর্তমান বিজেপি-আইপিএফটি সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে এবং রাজ্যে মিডিয়ার কণ্ঠকে দমন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তাদের দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি এখন ফাঁপা বলে মনে হচ্ছে। এটা বেশ স্পষ্ট যে রাজ্যের জনগণকে বোকা বানানো হয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়, বরং অর্থ লুট করা।’