ত্রিপুরা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আগামী নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে সংগঠন বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সংসদে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ত্রিপুরার প্রবীণতম নেতা তথা রাজস্ব মন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যে কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। গোটা গণতন্ত্রই এখন বিপদের মুখে।’ ত্রিপুরায় এখন বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি সরকার সেখানে। সেই সরকারের মন্ত্রীর মুখে এমন মন্তব্য বিপ্লব দেবের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, আইপিএফটি’র প্রধান নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা বুধবার জামপুইজালা-তাকারজালা কেন্দ্রে করোনা পরিস্থিতি দেখতে যান। সেখানেই তাঁকে ৫০–৬০ জন তিপরা দলের সমর্থক জড়ো হয়ে কালো পতাকা দেখায় এবং গো–ব্যাক স্লোগান দেন। এই পরিস্থিতির খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। ততক্ষণে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে, কমিউনিটি হলে ইট ছুড়তে শুরু করে। সেখানে তখন বৈঠক চলছিল। পরিস্থিতি গুরুতর দেখে দেববর্মাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
কিন্তু এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা। তিনি বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমি নিজের কেন্দ্রে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। আমি পৌঁছতেই তিপরা দলের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায় এবং আমাদের উপর আক্রমণ করে। বাধ্য হয়ে আমাদের বৈঠক বাতিল করতে হয়। আমি নিজের কর্তব্যই পালন করছিলাম।’ এরপরই তিনি সমালোচনায় ফেটে পড়ে বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে কেবল অরাজকতা চলছে। আমি কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন ঘটনা দেখিনি। এখানে কোনও আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্রই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের উচিত, দ্রুত পদক্ষেপ করা।’