রবিবার আগরতলায় পাঁচ বিধায়ককে নিয়ে আলাদা কর্মীসভা করতে দেখা গেল তাঁকে। সোমবার অনুপস্থিত থাকলেন দলের সাংগঠনিক বৈঠকে। এমনকী মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে নাম নেই তাঁর। আবার তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন না। হ্যাঁ, তিনি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। উলটে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, ‘এই নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। বিপ্লবের নীতির সঙ্গে মেলাতে পারছি না।’
কয়েকদিন আগেই তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। তখনই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথা চূড়ান্ত হয়ে যায়। যার জন্য তিনি বিপ্লব দেবের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এখনও যদি আমাদের কথা শোনা না হয় তাহলে চরম পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। তারপর আজ, বুধবার এই নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে চাপ বাড়ছে বিপ্লব দেবের।
সুদীপ–সহ বেশ কয়েকজন যদি বিজেপি ছেড়ে দেন তাহলে ত্রিপুরার সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে আজ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল, প্রত্যাখ্যান করেছি।’ এই মন্তব্যও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় সরকার না গড়ে দিতে পারে না। তাহলে তা এসেছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। আর সেটা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুতরাং ভাঙনের আশঙ্কা চরমে পৌঁছে দিলেন এই মন্তব্য করে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
এদিকে সুদীপবাবু পার্টি অফিসেও গিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন। সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সদর দফতরে পাঁচ মিনিট থেকেই বেরিয়ে যান তিনি। এরপরই বিজেপির অন্দরের ফাটল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। যা উড়িয়ে দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাইকিয়া বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে আলোচনা হয়েছে আজকের বেঠকে। তবে আগে এখানে জায়গা পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস, এখনও পাবে না।’ অন্যদিকে ত্রিপুরায় অন্যান্য দল থেকে ৬৯ জন নেতা–কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।