শক্তি কি বেড়েছে ত্রিপুরায়? নাকি হইচই সত্ত্বেও বিজেপির ময়দানে ‘খেলা’ দেখাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস? আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় ‘গ্রুপ লিগের ম্যাচে’ সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজবে ঘাসফুল শিবির। কারণ সেদিন ত্রিপুরার ২২ টি পুরসভায় হতে চলেছে নির্বাচন। সেদিনই আগরতলা পুরনিগমে নির্বাচন হবে। এমনটাই জানিয়েছে ত্রিপুরা নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার ত্রিপুরার নির্বাচন কমিশনার এমএল দে বলেন, ‘আগামী ২৫ নভেম্বর ভোট হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর ভোট গণনা হবে। আগামী ৪ ডিসেম্বরের পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’ তিনি জানিয়েছেন, সকাল সাতটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ৫.৯৪ লাখ। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩.৭ লাখের মতো। ৭৭০ টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে।
ভোটের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ:
১) ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ: আগামী ২৭ অক্টোবর।
২) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: আগামী ৩ নভেম্বর।
৩) মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনির শেষ দিন: : আগামী ৫ নভেম্বর।
৪) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন: আগামী ৮ নভেম্বর।
৫) ভোটগ্রহণ: আগামী ২৫ নভেম্বর।
৬) ভোটের ফলাফল: আগামী ২৮ নভেম্বর।
এমনিতে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের দিকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়মিত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যে যাচ্ছেন শীর্ষ তৃণমূল নেতারা। গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেই বাড়তি জোর নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূলকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি। আবার তৃণমূলের দাবি, ঘাসফুল শিবিরকে ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণে ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সুস্মিতা দেবরা।