বৃহস্পতিবারও আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় অনুমতি দিল না ত্রিপুরা পুলিশ। শুক্রবার বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় আইন-শৃঙ্খলার যুক্তি দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সেই পদযাত্রায় সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি।
আগরতলার এসডিপিওয়ের (সদর) কার্যালয়ের তরফে তৃণমূলকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হবে। বৃহস্পতিবার মূলত যান চলাচল এবং সার্বিকভাবে আইন-শৃঙ্খলার দিকে নজর থাকবে পুলিশের। সেজন্য বৃহস্পতিবার তৃণমূল যে পদযাত্রার অনুমতি চেয়েছিল, তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাথমিকভাবে অবশ্য বুধবার আগরতলায় পদযাত্রা করতে চেয়েছিলেন অভিষেক। সেইমতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের তরফে জানানো হয়, সেদিন আগরতলা টাউনে অন্য একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পদযাত্রায় অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যা নিয়ে বিপ্লব দেবের পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় তৃণমূল। অভিযোগ করা হয়, তৃণমূলের পদযাত্রা করতে না দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। ক্ষমতার অপপ্রয়োগেরও অভিযোগ তোলা হয়। তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ অভিষেকের পদযাত্রায় অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু পরে বাতিল করে দিয়েছে। অথচ পুলিশের রুট ধরেই পদযাত্রা করার প্রস্তাবও দিয়েছিল তৃণমূল। সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে জড়াচ্ছে না ঘাসফুল শিবির। বরং প্রস্তাবিত রুট ধরেই বৃহস্পতিবার অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
যদিও রাতের দিকে সেই আবেদনও নাকচ হয়ে গিয়েছে। তারপর কুণাল টুইটারে লেখেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে এতটাই ভয় যে ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার পদযাত্রায় হাস্যকর যুক্তিতে নিষেধ করার পর ১৬ তারিখেও আপত্তি করল ভীত বিজেপির পুলিশ। প্রমাণিত, তৃণমূল কংগ্রেসই এখানে (বিজেপির) প্রধান প্রতিপক্ষ। তাদের নিয়েই বিজেপির মাথাব্যথা। এভাবে ঠেকানো যাবে না। পরবর্তী পদক্ষেপ তৃণমূল মঙ্গলবার জানাবে।’