আগামী ২৫ তারিখ ত্রিপুরায় পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের ভোট রয়েছে। ঠিক তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা সেখানে দায়ের হল। উত্তর–পূর্বের এই রাজ্যে এসে জনসভায় ঝাঁঝালো বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। তাঁর দুটি মন্তব্যকে চিহ্নিত করে চলতি সপ্তাহে মামলা দায়ের হয়েছিল। তাই অমরপুর, ওম্পি থানা থেকে নোটিশও পাঠানো হয় তাঁকে। এই নিয়ে মোট ৯টি মামলা দায়ের হল কুণালের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারই ত্রিপুরায় পৌঁছে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ত্রিপুরা পুলিশ।
যেটা সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয়, শুক্রবার কুণাল ঘোষকে একসঙ্গে জেরা করেছে ত্রিপুরার চার থানার পুলিশ অফিসাররা। এমন জেরা সচরাচর দেখা যায় না। আগরতলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উদয়পুরের কাছে বাগমা ফাঁড়িতে জেরা করা হয়েছে তাঁকে। সেখানেই ওমপি, বীরনগর, আর কে পুর ও কাঁকড়াবন থানার তদন্তকারী অফিসাররা ছিলেন। দফায় দফায় সেখানে চলে জেরা–পর্ব।
পুলিশ সূত্রে খবর, কুণাল কেন ভাষণে সীতার পাতালপ্রবেশ উল্লেখ করেছেন? জবাবে কুণাল ঘোষ তাঁদের বলেছেন, বিজেপি কেন জয় শ্রীরাম বলে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলা করেছে? কেন রামরাজ্য বলছে? ওরা রাম বললে, আমি কেন মা সীতার পাতালপ্রবেশ বলতে পারব না? এমনকী পুলিশকে কুণাল বলেন, হয় রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার বন্ধ হোক। না হলে পুলিশ ঠিক করে দিক রামায়ণের কোন কোন অংশ ব্যবহার করা যাবে।
কুণালের এমন কথায় বেশ চাপে পড়ে যান পুলিশ অফিসাররা বলে সূত্রের খবর। কুণাল এদিন বলেন, ‘আমি বিশেষজ্ঞদের লেখার বাইরে কোন কথা বলিনি। মহাকাব্যের উপর ভিত্তি করে কোন অভিযোগ হতে পারে না। এটা বিজেপির রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা।’ এখন ত্রিপুরায় সরগরম পরিস্থিতি পুরসভার ভোট নিয়ে। তার মধ্যে এই জেরা–পর্ব আরও তপ্ত করেছে পরিবেশকে।
ত্রিপুরায় এই মামলা প্রসঙ্গে আগেই ট্যুইটে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘ত্রিপুরা সরকার আমার নামে আরও চারটি মামলা দিল। এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে ৯টি মামলা হল। ওরা জয় শ্রীরাম বলে হামলা করবে। আমি সীতার পাতালপ্রবেশ বললে মামলা। আজ আগরতলা যাচ্ছি। পুলিশ এত মামলা না করে আমাকে গ্রেফতার করুক। তৃণমূলকে ঠেকাতে হামলা-মামলার ছক। ত্রিপুরাতে বিজেপি একেবারে কোণঠাসা। ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে।’