ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা এখনও জারি রয়েছে ত্রিপুরা। হিংসা রুখতে রাজ্য প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও অশান্তি বজায় রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এরই মধ্যে এবার তিপ্রা মোথার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলল শাসকদল বিজেপি। দিল্লির নেতারা যতই তিপ্রা মোথার সঙ্গে জোট করতে চাক না কেন, তৃণমূল স্তরে দুই দলের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে তিক্ততা চরমে। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কিছু ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকেও। বাম-কংগ্রেস সাংসদদের নিয়ে গঠিত পর্যবেক্ষক দলের গাড়িতে হামলার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। এরই মধ্যে ত্রিপুরার অমপিনগরে বিজেপি কর্মীদের ওপরই হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল তিপ্রা মোথার দিকে। (আরও পড়ুন: 'যদি বন্ধ করে দিই...', ডিএ আন্দোলনকে 'নাটক' আখ্যা দিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ)
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার গোমতী জেলার অমপিনগরে বিজয় মিছিল বের করেছিল বিজেপি। সেই মিছিলেই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তিপ্রা মোথা কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনায় অন্তত ১৫ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। তাঁদের আগরতলার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে রবিবার ঘটনাস্থলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এই হামলার ঘটনাতে 'বর্বর এবং কাপুরুষোচিত' বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি নেতা রাজীব ভট্টাচার্য।
এদিকে বিজেপির অভিযোগ, দক্ষিণ জেলার বেলোনিয়া এবং সিপাহিজলা জেলার নলচরে তাদের নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে। একইভাবে, শনিবার সেপাহিজলা জেলার সোনামুড়ায় একটি সিপিএম পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ক্ষেত্রে অভিযোগের তির বিজেপি সমর্থকদের দিকে। স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন যে শাসক দলের ক্যাডাররা পার্টি অফিসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে, যার ফলে আগুন লেগেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি ভোট পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক হাজারেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে।