আগে সংস্কৃতের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল না। কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার পরেই ছবিটা পালটে গেল। নেটিজেনদের প্রশংসা পাওয়ার পরে এখন বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃত ভাষা পুনরুজ্জীবিত করার স্বপ্ন দেখছেন গায়িকা তথা অধ্যাপিকা।
উত্তর ত্রিপুরার ধর্মমনগর জেলার বাসিন্দা ছাব্বিশ বছরের প্রিয়াঙ্কা শর্মা সংস্কৃত ভাষায় 'মন মোর মেঘের সঙ্গী' গেয়েছিলেন। গানটি তাঁর শিক্ষক ডঃ ভানু শর্মা অনুবাদ করেছিলেন।প্রায় দু মাস আগে ফেসবুকে গানের ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এখনও পর্যন্ত ৫.৩৫ মিনিটের ভিডিয়োটি দুই লাখেরও বেশি মানুষ দেখেছেন।
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রিয়াঙ্কাই সম্ভবত প্রথম যিনি সংস্কৃত ভাষায় রবীন্দ্র সংগীত গেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কখনও কল্পনাও করতে পারিনি যে ভিডিওটি এত লোক পছন্দ করবেন। আসলে, এর কৃতিত্ব আমার শিক্ষক ডক্টর ভানু শর্মার, যিনি স্বরলিপি পরিবর্তন না করেই আমার জন্য গানটি অনুবাদ করেছিলেন। আমি কেবল গানটি গেয়েছি।’
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, তিনি সংস্কৃতকে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ দেখতে পাচ্ছেন।
ভানু শর্মা সম্প্রতি একটি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিতে হিমাচল প্রদেশে গিয়েছেন । এর আগে তিনি ছয় বছর ত্রিপুরায় ছিলেন।
কলেজে সংস্কৃতকে বিষয় হিসাবে গ্রহণের আগে প্রিয়াঙ্কা তাঁর ভাইয়ের মতো আইন পড়াতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি আগরতলায় দশ দিন ব্যাপী সংস্কৃত প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়ার পরে স্নাতক স্তরে সংস্কৃতকে অনার্স নেওয়ার বিষয়ে মনস্থির করেন।
২০১৫ সালে ধর্মমনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজ থেকে সংস্কৃত নিয়ে স্নাতক স্তরের পাঠ শেষ করার পরে, তিনি স্নাতকোত্তরে পড়াশুনোর জন্য আগরতলার কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। তিনি বিএড কোর্সও সম্পূর্ণ করেছেন। এর পরে তিনি ২০১৯ সালে ধর্মমনগর কলেজে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এ ছাড়াও, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থীকে সংস্কৃত ভাষা শেখানো শুরু করেছেন।