ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়। ভালোভাবেই রাতের খাবার খেয়েছিলেন বাড়ির সকলে। এরপর রাত ১১টা নাগাদ ঘুমোতে যান সকলে। একটি ঘরে স্বামী ও স্ত্রী শুয়েছিলেন। বাকিরা অন্য় ঘরে। আচমকাই রাত ২টো নাগাদ হাড় হিম করা আর্তনাদ। ঘুম থেকে উঠে মায়ের ঘরে ছুটে যায় দুই ছেলে। গিয়ে দেখে বাবার মাথা ধড় থেকে আলাদা করে ফেলেছে মা। এরপরই আতঙ্কে থানায় দৌড় লাগায় দুই ছেলে।পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলে তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪০ বছর বয়সী এক মহিলা তাঁর ঘুমন্ত স্বামীর গলা কেটে কাটা মুন্ডুটি ব্য়াগে ভরে সারা রাত ঘরে ঝুলিয়ে রাখেন। সকাল হতেই তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ত্রিপুরার খোয়াই জেলার রামচন্দ্রঘাট এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে মৃত স্বামীর নাম রবীন্দ্র তাঁতি(৫০)। রাত ২টো নাগাদ তার স্ত্রী এই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ।
কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দম্পতির মধ্যে আপাতভাবে বড় কোনও ঝগড়াঝাটি ছিল না। তবে গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রী কিছুটা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কয়েকদিন ধরে এক তান্ত্রিকের কাছেও তিনি যাচ্ছিলেন। তবে কি সেই তান্ত্রিকের উসকানিতেই স্বামীর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দিলেন স্ত্রী?
খোয়াইয়ের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, রাতে কোনও মহিলাকে গ্রেফতার করা যায় না। সেকারণে সকাল হতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে সকালে গিয়ে পুলিশ দেখে, ঘরে বসে রয়েছেন ওই মহিলা। পাশে ধারালো অস্ত্রটি পড়ে রয়েছে।