তিনি একজন অর্থনীতির ছাত্র। তা সত্ত্বেও সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। এরজন্য এবার পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অরুণোদয় সাহা। সাহিত্য ও শিক্ষায় অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। এরকম সম্মানের জন্য তালিকায় জায়গা পেয়ে খুশি প্রাক্তন উপাচার্য। তিনি বলেছেন, অর্থনীতির ছাত্র হলেও সাহিত্য তাঁর রক্তে মিশে রয়েছে। এই পুরস্কারের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য সংক্রান্ত কাজ স্বীকৃতি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অরুণোদয় সাহা।
কেন্দ্রের তরফে তাঁকে এবার পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই বছরের পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় আমার নাম আসায় আমি সত্যিই আনন্দিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করা সত্ত্বেও সাহিত্য আমার রক্তে মিশে রয়েছে। এটা ভালো যে আমার সাহিত্যকর্ম মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পেয়েছে। অবশেষে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই যারা আমাকে সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক অরুণোদয় সাহাজিকে সাহিত্য ও শিক্ষায় মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।’ মানিক সাহা আরও লিখেছেন, ‘এই প্রাপ্য স্বীকৃতি শিক্ষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানকে সম্মানিত করে। একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ এবং লেখক হিসাবে তাঁর অবদান অগণিত ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রতন লাল নাথও সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য অরুণোদয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।তিনি সোশ্যাল পোস্টে লিখেছেন, ‘সাহিত্য ও শিক্ষায় মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় অধ্যাপক সাহাকে অভিনন্দন। ত্রিপুরার প্রতি সম্মান জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
উল্লেখ্য, প্রাক্তন উপাচার্য ১৯৪৮ সালে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার বিশালগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন স্কুল শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন।অধ্যাপক সাহা ১০টিরও বেশি বই লিখেছেন। তিনি ২০২৩ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ত্রিপুরা বিভূষণ পুরস্কার পেয়েছেন।