ইদ উপলক্ষে এক মিউজিক ভিডিয়ো বানিয়েছিল ২৩ বছর বয়সি এক ইউটিউবার। তবে অভিযোগ, ভিডিয়োতে দেখানো মুসলিম মেয়েরা আদতে হিন্দু। এই আবহে অভিযুক্ত কন্টেন্ট ক্রিয়েটারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। আরএসএস-এর অনুমোদন প্রাপ্ত সংগঠন রাধাকিশোরপুর পুলিশ স্টেশনে গত সোমবার এই অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত ইউটিউবারের নাম বাপন নন্দী বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে বাপনের বিরুদ্ধে কোন এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি।
ঠিক কী ঘটেছিল? হিন্দু জাগরণ মঞ্চের গোমতি জেলার সভাপতি গৌতম দাস এই বিষয়ে বলেন, 'তারা যা ইচ্ছে ভিডিয়ো বানাতেই পারে। তবে এই ভিডিয়োতে চারটি হিন্দু মেয়েকে মুসলিম যুবকদের সঙ্গে দেখানো হয়েছে। সেই মেয়েরা অনুপযুক্ত পোশাক পরে ছিল ভিডিয়োতে। এরপর আমি উপপ্রধানের সঙ্গে কথা বলি। প্রথমে সেই ইউটিউবার ঘটনার কথা অস্বীকার করে। পরে সে মেনে নেয় বিষয়টি। এরপর উপপ্রধান তাকে চড় মেরে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।' এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বাপান জানিয়েছেন, তাঁকে বুধবার থানায় ডেকেছে পুলিশ। তিনি বলেন, 'আমি একজন হিন্দু। আমি কোনওদিনই আমার নিজের ধর্মকে অপমান করতে চাইনি। আমি একজন ইউটিউবার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটার। এটা কীভাবে অপরাধ হয়ে গেল?'
বাপান জানান, মোট আট জন মিলে এই ইদের ভিডিয়োটা বানানো হয়েছিল। এরপর সিদ্দিক হোসেন নামক এক ইউটিউবারের পেজ থেকে তা আপলোড করা হয় গত ২১ এপ্রিল। ইদ উপলক্ষে সেই ভিডিয়োটা বানানো হয়েছিল। পরদিন বাপান নিজের পেজ থেকেই ভিডিয়োটি আপলোড করেন। এই ভিডিয়োর জন্য তাঁকে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাপান। তিনি বলেন, 'এক পঞ্চায়েত উপপ্রধান আমাকে ডাকে। আমার বাড়ির থেকে অনেকটা দূরে পুলিশ লাইনের কাছে ডাকা হয়েছিল আমাকে। আমি সেখানে যাই। সেই মহিলা (উপপ্রধান) এবং কিছু যুবক আমাকে মারধর করে। সেখানে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে কেউ আমার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি।' এদিকে বাপানের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই গোটা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সিপিএম একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বাপানের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পুলিশের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।