শিশির গুপ্ত
জুনের ৬ তারিখ ভারত-চিন কম্যান্ডারদের মধ্যে ম্যারাথন বৈঠকের পর থেকে আরও কোনও গতিবিধি হয়নি লাদাখের চারটি ফ্ল্যাশপয়েন্টে। এই বিষয়ে অবহিত ব্যক্তিরা সোমবার এই কথা জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমসকে।
দুই দেশের সামরিক বৈঠকের পর ভারত রবিবার বলে দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী উভয় পক্ষ। মলডো-চুশুল বর্ডার মিটিং পয়েন্টের বৈঠক নিয়ে প্রায় একই কথা বলেছে চিন।
এটা ঠিক, যে গালওয়ান উপত্যকা ও প্যাংগং লেকে যে অচলাবস্থা তা আপাতত কাটার কোনও সম্ভাবনা নেই। ১৪ কর্পের কম্যান্ডার হরিন্দর সিং ও দক্ষিণ শিনজিয়াং মিলিটারি অঞ্চলের কম্যান্ডার লিউ লিনের বৈঠকে এটা সিদ্ধান্ত হয় যে ব্রিগেডিয়ার ও ব্যাটেলিয়ন কম্যান্ডার লেভেলে আলোচনা চলবে।
ভারতের হিসাব মতো এই অচলাবস্থা কম করে আগামী মাস অবধি চলবে, তার বেশিও গড়াতে পারে। তাহলে এটা প্রায় ডোকলামের অচলাবস্থার মতো হয়ে যাবে যেখানে ৭৩ দিন পরে একেবারে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের পর বরফ গলে।
তবে সূত্রের খবর, আপাতত কোনও গতিবিধি নেই যেখানে চিন ও ভারতের সেনা একেবারে সামনা সামনি দাঁড়িয়ে আছে, যেটাকে ইতিবাচক বলে ধরা হচ্ছে।
তবে চিনা আর্মির শিনজিয়াংয়ের হেডকোর্য়াটারে যেভাবে সেনা বাড়ানো হয়েছে, সেটা ভারতের নজর এড়ায়নি। গত কয়েক সপ্তাহে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে চিন। তবে ভারতীয় শিবির জানিয়েছে যে তারাও নিজেদের বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়েছেন।
এক সামরিক কর্তা জানিয়েছে সেনা সংখ্যা, সাপোর্ট এলিমেন্ট, ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার ও বায়ুসেনার সাপোর্ট-কোনও মাপকাঠিতেই ভারত পিছিয়ে নেই। এই অচলাবস্থায় প্রাথমিক ভাবে চিনের অ্যাডভান্টেজ থাকলেও একবার ওই প্রতিকুল পরিস্থতিতে সড়গড় হয়ে যাওয়ার পর ভারতও সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে।
এক সামরিক কর্তা জানিয়েছেন যে চিপচ্যাপ নদী-কারাকোরাম-ট্রিগ হাইটস-গালওয়ান-দেপসাং বালজ অ্যাক্সিসের ওপর চাপ দিচ্ছে চিনের সেনা ভারত দৌলত বেগ ওলডি এয়ারফিল্ড চালু করার পর থেকেই। ২০০৮ সালে এটি চালু করে ভারত। ২০১৩ সালে সেখানে C-130J সুপার হারকিউলিস কপ্টারও নামিয়েছিল ভারত।