সত্যি কথা বলার প্রতিদান! চাকরি থেকে বিতাড়িত হলেন শীর্ষ মার্কিন সাইবার সিকিউরিটি কর্তা ক্রিস ক্রেবস। টুইটারেই তাঁকে তাড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অপরাধ? ক্রেবস বলেছিলেন যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ ভাবে সংগঠিত হয়েছে ও কোনও কারচুপি হয়নি। এই কথা সম্পূর্ণ ভুল দাবি করে ক্রেবসকে বরখাস্ত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, ভোটে হারার পরেও চেয়ার ছাড়তে অস্বীকার করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সাফ কথা, তিনিই জিতেছেন, বাইডেন কারচুপি করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।
ট্রাম্পের দাবি যে ভোটে মারাত্মক কারচুপি ও অসঙ্গতি হয়েছে, অনেক জায়গায় মৃত লোকেরা ভোট দিয়েছে, অবজার্ভারদের গণনা দেখতে দেওয়া হয়নি ও মেশিনেও ভুল দেখিয়েছে। ক্রেবস হোমল্যান্ড ডিপার্টমেন্টের Cybersecurity and Infrastructure Security Agency (CISA)-র দায়িত্বে ছিলেন। সেই সিসার তরফ থেকে বারবার ভোট সংক্রান্ত গুজব খণ্ডন করা হয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয় ট্রাম্প প্রশাসন। বিশেষত একটি জল্পনা ছিল যে এমন একটি যন্ত্র আছে যেটায় যন্ত্রে সমস্ত ভোট ওলটপালট করার ক্ষমতা রাখে। তেমন কোনও যন্ত্র নেই বলেই এজেন্সি জানায়।
বরখাস্ত হওয়ার পর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ক্রেবস লেখেন যে আমরা ঠিক কাজ করেছি। এখন দেশ বাঁচাতে হবে ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। বাইডেনের পক্ষ থেকে ক্রেবসকে মার্কিন মুলুকে ভালো ভাবে ভোট মিটে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। অনেক রিপাবলিকানও তাঁকে সমর্থন করেছেন।