বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Trump: ট্রাম্পকে খুন করব, বদলা চাই…রাগ পুষে রেখেছেন ইরানের কমান্ডার, বিরাট হুমকি

Trump: ট্রাম্পকে খুন করব, বদলা চাই…রাগ পুষে রেখেছেন ইরানের কমান্ডার, বিরাট হুমকি

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। (ফাইল ছবি, সৌজন্য রয়টার্স)

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলা হয়েছিল বলে খবর। সেই হামলায় প্রাণ হারান ইরানের শীর্ষ নেতা তথা কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি। আর এবার দূরপাল্লার মিসাইল হাতে পেয়েই পালটা গর্জন শুরু করলেন ইরানের কমান্ডার।

নতুন ক্রুজ মিসাইল হাতে পেয়েছে ইরান। এটি বহুদূর পাল্লার। আর সেই মিসাইল হাতে পেয়েই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিশানা করে বাক্যবাণ ছুঁড়লেন ইরানের কমান্ডার। ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডস অ্য়ারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ একেবারে ট্রাম্পকে নিশানা করেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সোলেইমানির মৃত্যুর জন্য় দায়ী ট্রাম্প। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই তার উপর ড্রোন হামলা হয়। সেই কারণে ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমরা ট্রাম্পকে হত্যা করতে চাই। কোথাও কোনও রাখঢাক নেই। একেবারে সরাসরি জবাব ইরানি কমান্ডারের। 

এদিকে সম্প্রতি ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আঘাত হানতে পারে এমন মিসাইলের পরীক্ষা করেছিল ইরান। সেখানে মোটের উপর ইরান সফল হয়েছে। এরপরই একেবারে ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি। আসলে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলা হয়েছিল বলে খবর। সেই হামলায় প্রাণ হারান ইরানের শীর্ষ নেতা তথা কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি। সেই রাগ পুষে রেখেছে ইরান। আর এবার দূরপাল্লার মিসাইল হাতে পেয়েই পালটা গর্জন শুরু করলেন ইরানের কমান্ডার।

বদলা চাইছেন তিনি। আর সেটাও একেবারে সরাসরি। শুধু ট্রাম্প নন, যারা যারা সেই সময় সুলেইমানির হত্য়ার পেছনে ছিল বলে মনে করছেন তিনি তাদের সকলকেই হত্যা করতে চান তিনি। তার মধ্যে তৎকালীন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও রয়েছেন। ইরানের কমান্ডার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সুলেইমানিকে হত্যার ষড়যন্ত্র যারা যারা করেছিলেন প্রত্যেককেই খতম করে আমরা বদলা নিতে চাই। 

এদিকে ২০২০ সালে কাসেম সুলেইমানির মৃত্য়ুর পরে বাগদাদে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ইরান মিসাইল হামলা চালিয়েছিল। তবে সেনাদের উপর হামলা চালিয়ে যে আখেরে কিছু হয় না সেটা এতদিনে বুঝতে পেরেছেন ইরানের কমান্ডার। তাঁর মতে, সাধারণ সেনাদের মতো চুনো পুঁটিদের মেরে কোনও লাভ হয়নি। এটাকে প্রতিশোধ নেওয়া বলে কেউ মনে করবেন না। আমরা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে এবার টার্গেট করব।

এদিকে এই হুঁশিয়ারির পরেই নড়েচডে় বসেছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা। কারণ সম্প্রতি ইরানি ড্রোন খেলা দেখিয়েছে ইউক্রেনে। সেই ড্রোন রাশিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিল ইরান। অত্যন্ত ক্ষমতাশালী সেই ড্রোন দিয়ে একের পর এক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের একাধিক শহরের সেই ধ্বংসলীলার পেছনে রয়েছে ইরানের দেওয়া ড্রোন। স্বাভাবিকভাবেই ইরানের হুমকিকে হালকা করে দেখার দেশ আমেরিকা নয়।

বন্ধ করুন