বিদ্রোহ করার মাশুল চোকালেন সচিন পাইলট। তাঁকে রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি ও রাজ্য সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিল কংগ্রেস। এরপরেই টুইটারে নিজের বায়ো বদলালেন টেক স্যাভি সচিন। শুধু টঙ্কের বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় সরকারের তাঁর একদা মন্ত্রী থাকার বিষয়টির উল্লেখ আছে সেখানে। একই সঙ্গে নাম না করে গেহলট সরকারকেও একহাত নেন সচিন পাইলট।
টুইটারে তরুণ কংগ্রেস নেতে হিন্দিতে লেখেন-
তিনি বলেব সত্যিকে বিকৃত করা গেলেও সেটাকে পরাস্ত করা যায় না। সচিনের শিবির থেকে বলা হয়েছে যে তিনি কখনো দলের স্বার্থ বিরোধী কাজ করেন নি বা প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নি। তাহলে এই ব্যবস্থা কেন। একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, যেভাবে ২০১৩ ভোটে ২১ টি আসন জেতা কংগ্রেসকে ফের শক্ত জমিতে নিয়ে গিয়েছিলেন সচিন পাইলট, তাঁর যোগ্য সম্মান পান নি তিনি।
অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন অত্যন্ত ভারি মনে তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হল। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সচিন পাইলট কংগ্রেস সরকার ফেলতে চেয়েছিলেন বলেই তিনি অভিযোগ করেন। সচিন ছাড়াও আরও দুই নেতাকে ক্যাবিনেট থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বদলানো হয়েছে যুব কংগ্রেস ও সেবা দলের প্রধানকেও।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন যে পুরোটাই বিজেপির টাকার খেলার প্রভাব। প্রতি বিধায়ক পিছু ৩০ কোটির ওপর বিজেপি দিতে গিয়েছিল ও সচিন পাইলটও এতে ফেঁসে গিয়েছেন বলেই তিনি অভিযোগ করেন।