সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এক টিটিই-কে ঘিরে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ক্যামেরায় টিটিইর কর্মকাণ্ড বন্দি করার জন্য যাত্রীকে হুমকি দিচ্ছেন ওই টিটিই। অভিযোগ, ওই টিটিই ঘুষ নিচ্ছিলেন। আর তা বুঝতে পেরেই বাঙ্কের ওপর থেকে এক ব্যক্তি তাঁর ভিডিয়ো করেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তখনই ঘটে এই ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, বাঙ্কের ওপর থেকে ওই ব্যক্তি ভিডিয়ো করছিলেন টিটিইর। জানা যাচ্ছে, অভিযোগ, এক ব্যক্তির জন্য ট্রেনে সিটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা ঘুষ নিচ্ছিলেন টিটিই। আর তখনই যাত্রীরা ওই ঘুষ নেওয়ার বিরেোধিতা করেন। এক যাত্রী টিটিভির এই কীর্তির ভিডিয়ো করতে থাকেন। তখনই টিটিইর সঙ্গে ওই ব্যক্তির কথাকাটাকাটি হয়। দুজনের মধ্যে তুঙ্গে ওঠে উত্তেজনার পারদ। টিটিই বলেন, ‘কর্তব্যরত টিটিইর ভিডিয়ো করলে ৭ বছরের সাজা হয়’। পাল্টা ওই যাত্রী জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা কোথায় লেখা আছে?’ টিটিই পাল্টা বলেন,'দেখাব আমি'। বলার পরই তিনি ওই ব্যক্তির কাছ থেতে ক্যামেরা নিয়ে নিতে চান টিটিই। যাত্রী পাল্টা বলেন, ‘এটা আমার অধিকার’। দুই পক্ষের এই তর্কাতর্কি তুমুল পর্যায়ে যায়। এই ফুটেজ এরপর আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে মুহূর্তে তা রকেট গতিতে ভাইরাল হয়।
অনেক নেটনাগরিক TTE-এর আচরণ এবং আইনি প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভুল তথ্যের মাধ্যমে যাত্রীকে ভয় দেখানোর চেষ্টার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আরও অন্যান্য ইউজাররা বলেন,' টিটিই এক ধারে কীর্তি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন ! এখন তিনি জীবনের পাঠ দিচ্ছেন যেন তিনি একটি টক শোতে আছেন।'আরও এক নেটনাগরিকের প্রশ্ন,'এত অশিক্ষিত লোকজন কীভাবে সরকারি কাজে চাকরি পান? প্রতি ১০ বছর পর সরকারি কর্মীদের পরীক্ষা হওয়া প্রয়োজন। যাতে বোঝা যাবে, যে তারা সার্ভিসের জন্য যোগ্য কি না। ‘ আরও এক ইউজার লিখছেন, ’ এই কারণেই আমরা এখনও অনুন্নত দেশ।'