ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল রবিবার মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সন্ত্রাসবাদ এবং উদীয়মান প্রযুক্তির থেকে যে হুমকি সামনে আসছে, তা নিয়ে কথা হয় দু'জনের। এরই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে ভারত বিরোধী যে সব গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাদের নিয়েও তুলসির সাথে আলোচনা করেন ডোভাল। এদিকে নানান সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয় ডোভাল-তুলসি বৈঠকে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়েও বিশেষ আলোচনা হয়। এদিকে আজ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন তুলসি। (আরও পড়ুন: বালোচ মহিলার হামলায় 'মুখ লাল' পাক সেনার, পরপর আঘাত কালাট থেকে চমন, মৃত বহু)
আরও পড়ুন: ৪০টি চিনা J35A যুদ্ধবিমান হাতে পাবে পাক, হোতানে মোতয়েন J20, জবাবে কী করছে ভারত?
উল্লেখ্য, আমেরিকা, কানাডা সহ শীর্ষ বিশ্ব গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের নিয়ে দিল্লিতে একটি কনক্লেভের সভাপতিত্ব করেন ডোভাল। এরই মাঝে তুলসির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ডোভাল। এদিকে ঢাকার তরফ থেকে মনে করা হচ্ছিল, এই বৈঠকে হয়ত বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই পক্ষের। যদিও সেই বিষয়ে কথাবার্তা হয়ে থাকলেও তা কি, সেই বিষয়ে জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, বৈঠকের আলোচ্য বিষয়বস্তু গোপন রাখা হয়েছে। তবে খলিস্তানিদের নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে এনডিটিভি রিপোর্টে। (আরও পড়ুন: বাংলায় ৮৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল? দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: চিনের থেকে নয়া হাঙর শ্রেণির সাবমেরিন পেল পাকিস্তান, ভারত কি চিন্তায় পড়বে?
উল্লেখ্য, তুলসি গ্যাবার্ড নিজে হিন্দু। এই আবহে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তিনি সহানুভূতিশীল। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সর্বত্রই হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে বরাবরই সরব থেকেছেন তুলসি। তিনি নিজে মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। পরে ডেমোক্র্যাটদের ত্যাগ করে তিনি ট্রাম্পের প্রশংসায় গলা ফাটান ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে। এই আবহে ভোটে জিতে তুলসিকে মাকিন গোয়েন্দা প্রধানের পদে বসান ট্রাম্প। এহেন তুলসির ভারত সফরের বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ডোভালের সঙ্গে তুলসির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক 'বেশ ভালো হয়েছে' বলে দাবি করা হয়েছে পিটিআই রিপোর্টে। এদিকে কাাডার গোয়েন্দা প্রধান ড্যানিয়েল রজার্স, ব্রিটিশ নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন পাওয়েলও উপস্থিত ছিলেন ভারতের আয়োজিত কনক্লেভে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়।