দিল্লি বিধানসভা থেকে সোজা পৌঁছে যাবে লালকেল্লায়। বছরপাঁচেক আগে ব্রিটিশ আমলের এমনই একটি গোপন সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছে বলে দাবি করলেন দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গোয়েল। যা আগামী বছর আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে গোয়েল জানিয়েছেন, দিল্লি বিধানসভার সঙ্গে দিল্লির লালকেল্লাকে যুক্ত করেছে সেই সুড়ঙ্গ। যে সুড়ঙ্গ দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লালকেল্লায় নিয়ে যাওয়া হত। তিনি বলেন, '১৯৯২ সালে আমি যখন বিধায়ক হয়েছিলাম, তখন কানাঘুষো শোনা যেত যে লালকেল্লা পর্যন্ত একটি সুড়ঙ্গ আছে। সেটার ইতিহাস বের করার চেষ্টা করেছিলাম আমি। কিন্তু সেটা নিয়ে স্পষ্টভাবে কোনও তথ্য মেলেনি।'
গোয়েল দাবি করেছেন, কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানীতে সরিয়ে আনার পর বর্তমানের বিধানসভাকে কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হত। ১৯২৬ সালে আদালতে পরিণত করা হয়েছিল। সেই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আদালতে আনা হত। পিটিআইকে গোয়েল বলেন, ‘আমরা সবাই কক্ষে ফাঁসি ঘরের বিষয়ে জানতাম। কিন্তু কখনও খুলে দেখিনি। এবার স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে আমি ওই কক্ষ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিই। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা প্রদানের জন্য আমরা সেই কক্ষটিকে পবিত্র জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমরা সুড়ঙ্গের নয়া রূপ দেব না এবং আরও খোড়াখুঁড়ি করল না। কারণ মেট্রো রেলের মতো নির্মাণ কাজের জন্য সেটা রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। ’ তবে ফাঁসির কক্ষের সংস্কার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। কাজও শীঘ্রই শুরু করা হবে। আগামী বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। নাহলে আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।