বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > TV Anchor Rohit Ranjan: সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পুলিশ! যোগী রাজ্য চরমে নাটক

TV Anchor Rohit Ranjan: সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পুলিশ! যোগী রাজ্য চরমে নাটক

সাংবাদিক রোহিত রঞ্জন (ছবি - টুইটার)

TV Anchor Rohit Ranjan: দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধির অভিযোগে গাজিয়াবাদে সাংবাদিক রোহিত রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করতে আসে ছত্তিশগড় পুলিশ। তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রোহিত রঞ্জনের গ্রেপ্তারি আটকে দেয়।

রাহুল গান্ধীকে ‘ভুল উদ্ধৃত’ করার অভিযোগ উঠেছিল জিটিভির সাংবাদিক রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয়েছিল ছত্তিশগড়ে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধির অভিযোগে তাই গাজিয়াবাদে সাংবাদিক রোহিত রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করতে আসে ছত্তিশগড় পুলিশ। তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রোহিত রঞ্জনের গ্রেপ্তারি আটকে দেয়। অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর ওয়ানাডের অফিসে হামলার প্রেক্ষিতে দেওয়া বয়ানকে ভুল করে উদয়পুর কাণ্ডের প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রচার করা হয় জিটিভিতে। এই ঘটনায় রায়পুর সিভিল লাইন্সে রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।   

রায়পুর পুলিশের সুপার প্রশান্ত আগরওয়াল বলেন, ‘দেবেন্দ্র যাদব নামক এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে ধারা ১৫৩ (ধর্ম, জাতি, স্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা), ধারা ২৯৫ (যে কোনও শ্রেণির ধর্মকে অবমাননা করার উদ্দেশ্যে উপাসনাস্থলকে আঘাত করা বা অপবিত্র করা), ধারা ৫০৪ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধারা ৫০৫ (২০) (জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশে বিবৃতি) , ধারা ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ধারা ৪৬৭, ধারা ৪৬৯ এবং ধারা ৪৭১-এ মামলা রুজু হয় রোহিতের বিরুদ্ধে।’

রায়পুর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং দ্রুত গাজিয়াবাদে চলে যায়। সেখানেই থাকেন রোহিত। রায়পুরের এসপি দাবি করেছেন যে ছত্তিশগড় পুলিশের দল আদালতের পরোয়ানা নিয়ে গাজিয়াবাদে পৌঁছেছে এবং অ্যাঙ্করকে আটক করে। তাঁর গ্রেপ্তারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছিল, সেই সময় নাকি স্থানীয় পুলিশ এসে প্রক্রিয়ায় বাধা দেয় এবং পরবর্তীতে রোহিত রঞ্জনকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। 

জানা গিয়েছে, নয়ডার সেক্টর ২০ থানায় নথিভুক্ত হওয়া একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংবাদ উপস্থাপক রোহিত রঞ্জনকে তুলে নিয়ে যায় নয়ডা পুলিশ। আজই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেই থানায়। কিন্তু অ্যাঙ্করের নাম ছিল না সেই অভিযোগে। সাংবাদিককে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বন্ধ করুন