টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত কি আরও বাড়তে চলেছে? কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের অভিযোগের পর সেই প্রশ্ন আরও জোরালোভাবে উঠতে শুরু করেছে। তিনি দাবি করেন, কপিরাইট আইন ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে প্রায় এক ঘণ্টা নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার টুইটারের ভারতীয় বিকল্প 'কু'-তে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ অত্যন্ত উদ্ভট ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইনের ভঙ্গের অভিযোগে প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে দেওয়া হয়নি টুইটার। পরে ওরা (টুইটার) আমার অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়।’ তিনি দাবি করেন, টুইটার যে কাজ করেছে, তাতে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(৮) নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে। কারণ অ্যাকাউন্টে ঢুকতে না দেওয়ার পদক্ষেপের আগে তাঁকে কোনও নোটিশ দেয়নি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা।
বিতর্কিত নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র ও টুইটারের সংঘাত চরমে উঠেছে। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের শর্তপূরণ করেনি টুইটার। তার জেরে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে প্রদত্ত ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারাতে পারে। যে নীতি অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার-সহ ভারতের জন্য একাধিক আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। তারইমধ্যে বিজেপি নেতাদের টুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ হিসেবে চিহ্নিত করা নিয়েও সংঘাতে জড়িয়েছে টুইটার এবং কেন্দ্র। টুইটারের তরফেও ভারতে নিজেদের কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পুলিশি ‘ভয় দেখানোর’ বিরুদ্ধেও উদ্বেগ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। তারইমধ্যে গত ৫ জুন কেন্দ্রের ‘চূড়ান্ত’ নোটিশের পর অবশ্য সুর নরম করে মাইক্রো ব্লগিং সাইট। নয়া নীতি মেনে চলা হবে বলে জানানো হয়। দেওয়া হয় এক সপ্তাহের মধ্যে শর্ত পূরণেরও আশ্বাস। পরে অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করে টুইটার।
সেই সংঘাতের আবহেই টুইটারের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, টুইটারের ‘স্বেচ্ছাচারী’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য এবং তাঁর সাক্ষাৎকারের যে প্রভাব পড়েছে, তাতে যে সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থার ডানা এলোমেলো হয়েছে গিয়েছে, তা স্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে যোগাযোগ করা হয়। তবে আপাতত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।