মন্দিরে জল পানের 'অপরাধে' ১৪ বছরের কিশোরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। যে ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের সেই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে। টুইটারে ‘সরি (কিশোরের নাম প্রকাশ করা হল না)’ ট্রেন্ডও হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় যোগী আদিত্যানাথের রাজ্যের একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা যায়, স্থানীয় মন্দিরে খেতে গিয়েছিলেন ওই কিশোর। বেরনোর সময় তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। জানতে চাওয়া হয় বাবার নামও। মন্দিরে ঢোকার কারণে জানতেই কিশোরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। নির্বিচারে লাথি, চড়, ঘুষি মারা হতে থাকে।
সেই ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই ঘটনার নৃশংসতায় শিউরে ওঠেন নেটিজেনরা। শুরু হয় প্রতিবাদ। তারইমধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় মন্দিরের কেয়ারটেকার শিরিঙ্গি নন্দন যাদব (২৩) এবং শিবানন্দ সরস্বতীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। দু'জনকেই গ্রেফতার করা হয়। শিরিঙ্গি ওই কিশোরকে মারধর করেছিল। আর রেকর্ড করেছিল যতি। গাজিয়াবাদের (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার ইরজ রাজা বলেছেন, ‘গত তিন মাস ধরে মন্দির চত্বরে থাকছিল মূল অভিযুক্ত। দুই অভিযুক্ত ভিডিয়োটি ভাইরাল করেছিল।’
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, হিন্দু ছাড়া অন্যান্য ধর্মের মানুষদের মন্দিরে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। মন্দিরের অপর এক কেয়ারটেকার যতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী বলেন, ‘মন্দিরে একাধিক ট্যাপ আছে, যেখান থেকে মানুষ জল পান করেন। মন্দিরের মধ্যে ওই কিশোরকে থুতু ফেলতে দেখে ফেলেন আমাদের কেয়ারটেকাররা। ওঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ওঁদের জামিনের জন্য আমরা আইনি সাহায্য নেব।’