বিজেপিকে সমর্থন করেন। সেজন্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ধর্ষণ করেছেন। এমনই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন ৬০ বছরের এক মহিলা এবং ১৭ বছরের কিশোরী।দু'জনেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের আর্জি জানিয়েছেন। কিশোরী সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলেছেন।
খেজুরির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা দাবি করেছেন, তাঁর বিধানসভা এলাকা থেকে বিজেপি জিতেছে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের দু'দিন পর কয়েকজন তৃণমূলকর্মী তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েন। ছ'বছরের নাতির সামনে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন। বৃদ্ধার অভিযোগ, টাকা ও গয়না লুঠ করা হয়। সেই ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করেন জামাই। কিন্তু তা করতে পারেননি। পরে বৌমার জোরাজুরিতে এফআইআর দায়ের করা হয়। আইনজীবী অরুণিমা দ্বিবেদীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনে দাবি করা হয়ছে, প্রতিপক্ষ শিবিরকে সন্ত্রস্ত করার অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণের সাক্ষী থেকেছে ইতিহাস। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য কখনও কোনও মহিলার বিরুদ্ধে এরকম ‘নৃশংস অপরাধ’ হয়নি।
একইরকম অভিযোগ তুলেছেন ১৭ বছরের এক কিশোরী। তাঁর দাবি, বিজেপিকে সমর্থনের ‘শিক্ষা’ দিতে ঘণ্টাখানেক ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছে চারজন তৃণমূলকর্মী। গত ৯ মে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় সেই ঘটনা ঘটেছে। গণধর্ষণের পর তাঁকে জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরদিন এক তৃণমূলনেতা তাঁদের বাড়িতে আসেন এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করার জন্য হুমকি দেন। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন কিশোরী। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে মামলার স্থানান্তর চেয়ে কিশোরীর আবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাশে না দাঁড়িয়ে পুলিশ তাঁদের পরিবারের উপর চাপ তৈরি করছে। পরিবারের অন্য মেয়েদেরও একই অবস্থা হবে বলে চাপ তৈরি করা হচ্ছে।