১৫ বছর ধরে বন্ধ দোকানের শাটার। আচমকা পচা গন্ধ বের হতে শুরু করে সেই দোকানেরই ভেতর থেকে। স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালাতেই পুলিশের মুখ হা। তল্লাশি চালিয়ে সেই দোকানের বেসমেন্ট থেকে মানব দেহাংশ ভরা দুটি বালতি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাসিকে। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া বালতিতে আটটি কান, বেশ কয়েকটি চোখ, ঘিলু, খুলি মিলেছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে মুম্বই নাকা পুলিশ স্টেশনের এক কর্তা বলেন, ‘দোকানটি রদ্দি সামগ্রীতে ভরা ছিল। সেখানেই দুটি প্লাস্টিকের বালতির ঢাকনা খুললে আমরা মানুষের কান, মস্তিষ্ক, চোখ এবং মুখের কিছু অংশ পেয়েছি। আরও তদন্তের জন্য ফরেনসিক দল মানবদেহটিকে হেফাজতে নিয়েছে।’
এদিকে বিষয়টির তদন্ত করে দেখা হলেও ঘটনাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে দেখছে না পুলিশ। পুলিশ জানায়, দোকানের মালিকের দুই ছেলেই মেডিকেলের ছাত্র এবং সম্ভবত মানুষের দেহাংশগুলি চিকিৎসার জন্য রাখা হয়েছিল। তাছাড়া মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি রাসায়নিক পদার্থে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। এদিকে দোকানের মালিক পুলিশকে জানিয়েছেন, মানুষের দেহাবশেষ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।