এক শিক্ষকের তিন সন্তান। কিন্তু তিনি চাকরি পাওয়ার সময় বিষয়টি লুকিয়েছিলেন। তবে পরে তদন্তে ধরা পড়ে তাঁর তিন সন্তান রয়েছে। আর সেকারণে চাকরি গেল তাঁর। মধ্য়প্রদেশের ভিন্দের ঘটনা। আসলে হাম দো হমারা দো এই নীতিতে চলে মধ্যপ্রদেশ।
ওই শিক্ষকের নাম গণেশ প্রসাদ শর্মা। গত বছর মার্চ মাসে সিএম রাইস স্কুলে তাঁকে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তবে কিছুদিন পরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি দুই সন্তান রাখার যে নীতি সেটা লঙ্ঘন করেছেন। স্কুলের প্রিন্সিপাল তিলক সিং সেই চাকরি খারিজের নির্দেশটি শেয়ার করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারির পর থেকে কোনও দম্পতি দুয়ের বেশি সন্তান অর্থাৎ তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন না।
এদিকে গণেশ প্রসাদ তৃতীয় সন্তানের বিষয়টি স্রেফ লুকিয়ে রেখেছিলেন। এরপর তার বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা দফতরে নালিশ গিয়েছিল। তারপরই এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এরপর দেখা যায় যে অভিযোগ করা করা হচ্ছে সেটা সত্যি। তারপরই ওই ব্যক্তির চাকরি যায়। আসলে তাঁর যে তিনটি সন্তান রয়েছে সেটা তিনি বেমালুম লুকিয়ে গিয়েছিলেন। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছেও অভিযোগ করা হবে।
বলা হয় মূলত জনসংখ্য়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কারণ অনেকের মতে, এভাবে মাঝবয়সে চাকরি যাওয়ায় মহা সমস্যায় পড়ে গেলেন শিক্ষক। তাছাড়া এবার তাঁর যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়তে পারে তৃতীয় সন্তানের উপর। সেক্ষেত্রে ফলাফল হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে সরকার যে নিয়ম করেছে সেটাও অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জনসংখ্য়া নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যতে জনবিস্ফোরণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই নিয়মটাকে মান্যতা দেওয়াটা জরুরী। সম্ভবত চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি তৃতীয় সন্তানের বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এতদিনে তিনি ধরা পড়ে গেলেন। আর তারপরই একেবারে ভয়াবহ সমস্যা নেমে এল।