বাংলাদেশ মানেই হাজার হাজার রিকশা। বহু সময় রিকশায় অবরূদ্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের একাধিক শহর। সেই রিকশাকে ঘিরে নানা ঠাট্টা রসিকতাও হয়। তবে এবার সেই বাংলাদেশের রিকশায় গতি আনতে এগিয়ে এসেছেন চিনের দুই তরুণী।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণী। নিকোল মাও এবং ইওয়েই ঝু। করোনা অতিমারির সময় তাঁরা বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন। আর সেই সময়ই বাংলাদেশের রিকশায় গতি আনার জন্য স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন তাঁরা। বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক রিকশার জন্য তাঁদের তৈরি করা ব্যাটারি সোয়াপিং স্টেশন নেটওয়ার্কের( ব্যাটারি বদলানোর নেটওয়ার্ক) জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দুই চিনা তরুণীর স্টার্টআপটির নাম টাইগার নিউ এনার্জি।এই স্টার্টআপটি বৈদ্যুতিক রিকশাচালকদের নতুন ব্যাটারি অদলবদলের সুযোগ দিয়ে তাঁদের পেশাজীবনকে আরও সহজ করে দিয়েছে।
সাধারণত রিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে অনেকটা সময় লাগে। সেকারণে এবার বিকল্প ব্যবস্থা এনেছেন দুই চিনা তরুণী। এই নতুন ব্যবস্থা ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
সূত্রের খবর, ওই দুই চিনা তরুণী ২০২১ সালে তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রমের বসন্তকালীন ছুটির সময় এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন। কিন্তু অতিমারির জেরে ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। আর তখন বাংলাদেশে থাকার সময়ই তাঁরা স্টার্ট আপ নিয়ে কাজ করা শুরু করেন।
এই নয়া সিস্টেমে নতুন করে আর ব্যাটারি কিনতে হয় না রিকশাচালকদের। যখন চালকরা দেখেন ব্যাটারির চার্জ কমে যাচ্ছে তখন তাঁরা একটি স্বংয়ক্রিয় সোয়াপিং স্টেশনে গিয়ে নতুন ব্যাটারি বদলে নেন। তার বিনিময়ে তাঁদের ফি দিতে হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের পর বাংলাদেশে এই ব্যাটারি সোয়াপিং স্টেশনের সংখ্যা দু হাজারের বেশি হবে। আগামী দিনে নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গে ই বাইকের জন্যও তাঁরা বিশেষ সিস্টেম চালু করবেন।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংস্থার সিইও নিকোল মাও জানিয়েছেন, চিন বা যুক্তরাষ্ট্রে এমন এলাকা খুঁজে পাওয়া কঠিন যেখানে মানুষের চাহিদা অপূর্ণ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে তিনি সব জায়গায় লোকজনকে বলতে শোনেন তাঁরা এমন কিছু তৈরি করতে সাহায্যে করতে পারেন কি না যা এখানে নেই।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্বের অনেক শহরের সঙ্গেই গতির নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতে বুলেট ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এবার রিকশা নিয়ে নয়া উদ্যোগ।