হিন্দুদের নাকি খ্রিষ্ঠ ধর্মে রুপান্তরিত করা হচ্ছে। এই অভিযোগে অসমে দুই মহিলাকে গণপ্রহার দেওয়া হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার অসমের শিলচরে দুই খ্রিস্টান মহিলাকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। একটি হিন্দু গোষ্ঠী এই দুই মহিলার বিরুদ্ধে হিন্দুদের খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তর করার চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছিল।
জানা যায়, শিলচর শহরের তারাপুর এলাকার বাসিন্দা নিতু গোয়ালা এবং শিরশা বাগদির বিরুদ্ধে হিন্দু রক্ষী বাহিনীর কিছু কর্মী অভিযোগ দায়ের করে। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়। তারাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনন্দ মেধী নিশ্চিত করেছেন যে মহিলাদের সাময়িকভাবে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলবে।
রবিবার বিকেল ৪টের দিকে তারাপুরের ভাষা শহিদ লেনে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। একদল ছেলে দুইজন মাঝবয়সী মহিলাকে মারধর করে সেখানে। সেই ছেলেদের মতে, মহিলারা একটি অ্যামপ্লিফায়ারে বাইবেলের বার্তা বাজাচ্ছিলেন এবং লিফলেট (বাইবেলের বিষয়বস্তু সহ) বিতরণ করছিলেন এবং লোকেদেরকে খ্রিষ্ঠধর্ম অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন। বাইবেলের বার্তা বাজানো নিয়ে ঝামেলা চরমে পৌঁছলে দুই মহিলাকে আটক করা হয়।
হিন্দু রক্ষা বাহিনীর সদস্য বিজয় নাথ বলেন, গোয়ালা ও বাগদি হিন্দু ছিলেন কিন্তু পরে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। বিজয়ের বক্তব্য, 'এখন তারা আরও হিন্দুদের খ্রিস্টান করার চেষ্টা করছে। তারা বলছিলেন হিন্দুদের পূজা করতে হয় না; তাদের ঈশ্বর এবং বিশ্বাস উচ্চতর। এটি হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে এবং এটি একটি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় সহ্য করা যায় না।'