নাগপুরের এক হাসপাতালে দুজন করোনা রোগীকে একই বিছানায় রাখা হয়েছে। একজন আধশোয়া অবস্থায় রয়েছেন। আরেকজন বিছানায় শুয়ে আছেন।হাসপাতালের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় হাসপাতালের এই ছবি প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ প্রশাসনিক মহলে।
নাগপুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সুপার অভিনাশ গাওয়ামদে জানান, শহরের বাইরে থেকে বিভিন্ন মুমুর্ষু রোগীরা আসেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে।এছাড়াও করোনা রোগীরা তো আসেননি।এই হাসপাতালের ওপর অনেকটাই চাপ থাকে।হাসপাতালে বিছানার সংখ্যা বেড়েছে।এখন আর কোনও সমস্যা নেই। এখন প্রত্যেক রোগীর জন্য আলাদা আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবারে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নাগপুরে ৩ হাজার ১০০ জনেরও বেশি নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। মারা গিয়েছেন ৫৫ জন। এখনও পর্যন্ত ২ লাখ ২১ হাজার ৯৯৭ জন করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে।এই পরিস্থিতিতে নাগপুর হাসপাতালে একই বিছানায় দুজন করোনা রোগীকে শুইয়ে রাখার ভিডিও অনেকেরই ঘুম উড়িয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেয়। সরকারের উদাসিনতার অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত ভাওয়ানকুলে জানান, নাগপুরে ক্রমেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। যারা অন্য রোগে আক্রান্ত তাদের সঙ্গেই করোনা রোগীকে একই ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সরকার কাজের কাজ কিছুই করছে না। শুধু কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমোচ্ছে। আরো অভিযোগ করে বিজেপি নেতা জানান, মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় তিন জন মন্ত্রী এই নাগপুর থেকেই। কিন্ত তারা কেউই এখন শহরে নেই। কীভাবে করোনাকে নিয়ন্ত্রনে আনা যায়, কোনও পরিকল্পনাই নেই সরকারের।
শুধু নাগপুরেই নয়, মহারাষ্ট্রের অন্য জায়গাতেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।করোনা সংক্রমণ বাড়লে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেজন্য মুম্বাইতে বিভিন্ন হাসপাতালে বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।