একটুর জন্য রক্ষা মুখোমুখি ধাক্কা থেকে! মাঝ আকাশে কলকাতামুখী বিমান ঘিরে চাঞ্চল্য

জানুয়ারির ৭ তারিখে বেঙ্গালুরু-কলকাতা ৬ই৪৫৫ ও বেঙ্গালুরু-ভুবনেশ্বর ৬ই২৪৬ বিমানের মধ্যে মাঝ আকাশে মুখোমুখি ধাক্কার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ইন্ডিগোর উড়ান (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য রয়টার্স)

অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল দুটি বিমান। মাঝ আকাশে দুই ইন্ডিগো বিমান মুখোমুখি সংঘর্ষের দিকে যেতেই, বরাত জোরে রক্ষা পায়! গত ৭ জানুয়ারির এই ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে ডিজিসিএ। যদিও ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য উঠে আসেনি এই বিষয়ে। ডিজিসিএর ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমার বলেছেন, 'আমরা তদন্ত করে দেখছি, যাঁদের দোষী পাওয়া যাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

জানা গিয়েছে, জানুয়ারির ৭ তারিখে বেঙ্গালুরু-কলকাতা ৬ই৪৫৫ ও বেঙ্গালুরু-ভুবনেশ্বর ৬ই২৪৬ বিমানের মধ্যে মাঝ আকাশে সংঘর্ষ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ডিজিসিএর তরফে জানানো হয়েছে, 'দুটি রানওয়ে সেদিন ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই সময় যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি ঠিক করেন যে, সিঙ্গল রানওয়ে দিয়ে অপারেশন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নর্থ রানওয়েকে কার্যকরী করা হয়। তবে সাইথ রানওয়ে যে বন্ধ তা সাইথ টাওয়ার কন্ট্রোলারকে বলা হয়নি। সাউথ টাওয়ার কন্ট্রোলার ৬ই৪৫৫ কলকাতাগামী বিমানকে যেতে অনুমতি দিয়ে দেয় সেখান থেকে। একই সঙ্গে নর্থ টাওয়ার কন্ট্রোলার ৬ই২৪৬ ভুবনেশ্বরগামী বিমানকে ছাড় দিয়ে দেয়। ছিল না কোনও কোঅর্ডিনেশন।'

ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, সংযোগের অভাবেই এই বড় বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল দুটি বিমান। ব়্যাডার কন্ট্রোলার ও এটিসি অফিসারের মধ্যে সংযোগের অভাবের ফলেই এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক তদন্ত। উল্লেখ্য, বিমানে তখন ১০০ জন যাত্রী ছিলেন। রিপোর্ট বলছে, বিমান টেক অফ-র পরই মুখোমুখি ধাক্কার দিকে যাচ্ছিল। বেঙ্গালুরুর আকাশে সমুদ্রতল থেকে তিন হাজার মিটার উপরে তখন ঘটে যায় এই ঘটনা।