অনেককেই পুরীর সমুদ্র বার বার টানে। সেই টানেই ছুটে যান তারা। পুরী বেড়াতে যাওয়া যেন তাদের কাছে একেবারে জলভাত হয়ে যায়। এই যেমন শ্রীরামপুরের দুই বন্ধু । তারা নয় নয় করে আট বার পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষবার আর বাড়ি ফেরা হল না। ফিরল নিথর দেহ। সমুদ্রেই তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু দুই বন্ধুর। একজনের নাম অরিন্দম দাস ও অপরজনের নাম অজয় দাস। অরিন্দম বিমার এজেন্ট ছিলেন। আর অজয় টোটো চালাতেন।
শ্রীরামপুরের একই পাড়ায় থাকতেন তারা। অরিন্দমের পরিবারের দাবি, ওরা পুরী গিয়েছিল। ৩ তারিখে গিয়েছিল। ফোন করে জানাল সব ঠিক আছে। কিন্তু পরে থানা থেকে ফোন পেলাম আপনার ছেলে আর নেই। আমরা কী করব কিছুই বুঝতে পারলাম না। হোটেলে ঢুকে বলল আমি ভালো আছি। কিন্তু তারপর কী হয়ে গেল বুঝলাম না।
শ্রীরামপুরের বঙ্গলক্ষ্মী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তারা। তারা ছয় বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন। অরিন্দমের দাদা জানিয়েছেন, ওরা ছয় বন্ধু গিয়েছিল। সকলেই এক এক করে উঠে এসেছিল। কিন্তু ওরা দুজন আর সমুদ্র থেকে উঠতে পারেনি। ওরা আগেও ৮বার পুরীতে নেমেছিল। এবার ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গেল ওরা।
এদিকে সূত্রের খবর ওই স্বর্গদ্বার ঘাটের কাছেই দিন কয়েক আগে হাওড়ার বাসিন্দা বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছিল জলে ডুবে। তারপরে ফের সেই পুরীর সমুদ্র টেনে নিল দুই বন্ধুকে।
পুরীতে গিয়ে ভিডিয়ো কলে হোটেলের ঘর পরিবারকে দেখিয়েছিলেন তারা। রান্না করে খেয়ে সকলে মিলে সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন। বৃহস্পতিবার তারা স্নান করতে নেমেছিলেন। কিন্তু সেটাই কাল হল। ভেসে গেলেন অরিন্দম ও অজয়। আর ফেরা হল না তাদের। দুই পরিবারে একেবারে শোকের ছায়া।
পরিবারের দাবি বহু বার তারা পুরী গিয়েছেন। ছুটি পেলেই বন্ধুরা মিলে পুরী চলে যেতেন। কিন্তু সেটাই কাল হল। শুক্রবার বাড়িতে ফিরল দুই বন্ধুর নিথর দেহ। দুই তরতাজা প্রাণকে কেড়ে নিল সমুদ্র।