চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো পাটনায়। ৫ তলার ছাদ থেকে পরপর দুই বোনকে ফেলে দিল এক যুবক। এর ফলে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও একজনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় পাটনার বাহাদুরপুর থানা এলাকার শিবশক্তি নগরে। অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয়রা। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দিল একাধিক গাড়িতে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল পাথর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এলাকার ব্যবসায়ী নন্দলাল গুপ্তের দুই মেয়ে সালোনি গুপ্ত (১২) এবং শালু গুপ্ত (১০) এদিন ছাদে কাপড় তুলতে গিয়েছিল। সেই সময় ওই ছাদে লুকিয়ে ছিল অভিযুক্ত যুবক বিবেক কুমার ভাস্কর। আচমকায় ওই যুবক ছুরি নিয়ে তাদের ভয় দেখিয়ে একের পর এক ছাদ থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। উপর থেকে কিছু একটা পড়ার বিকট আওয়াজ পেয়ে প্রথমে বুঝতে পারেননি স্থানীয়রা। পরে একজনের চিৎকারের আওয়াজ শুনে সেখানে ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুজন। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সালোনিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, অভিযুক্ত যুবককে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিতে গেলে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা পাথর ছুড়তে শুরু করেন। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়ি। দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। স্থানীয়দের ছোড়া পাথরে বাহাদুরপুর থানার ওসি সানোভার খান সহ আটজন আহত হয়েছেন।
পরে স্থানীয়দের বুঝিয়ে ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ওই যুবক পার্শ্ববর্তী দ্বারভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। তবে কি কারণে সে ওই ২ নাবালিকাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এনিয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ শুক্রবার অভিযুক্ত যুবককে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের জন্য আবেদন জানানো হয়।