উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার নওগাম সেক্টরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। তার জেরে দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চার জওয়ান।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বিনা প্ররোচনায় বৃহস্পতিবার সকালে নওগাম সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি সেনা। ছোড়া হয় মর্টার ও গোলাগুলি। পালটা জবাব দেয় ভারতীয় জওয়ানরাও। তবে পাকিস্তানের হামলায় মৃত্যু হয়েছে দুই জওয়ানের। শ্রীনগরের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ বলেন, ‘আহত জওয়ানদের উদ্ধার করা হচ্ছে। আর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে।’
সূত্রের খবর, সকাল ১০ টা ১৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে মর্টার ছোড়া হয়। আহত জওয়ানদের শরীরে স্প্লিন্টার বিঁধেছে। তাঁদের ইতিমধ্যে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে শিখ লাইট ইনফ্র্যান্টির ১৫ নম্বর ইউনিটের এক হাবিলদার এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসের এক রাইফেলম্যানের।
এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সকাল থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য অস্ত্রের পাশাপাশি এখনও কামান দাগা চলছে।’
এর আগে, বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে ৭৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শেলিং করেছিল পাকিস্তান। তার জেরে মৃত্যু হয় ল্যান্স নায়েক কার্নেল সিংয়ের। তিনি পঞ্জাবের সাঙ্গুর জেলার লোহা খেরার বাসিন্দা। সোমবার উত্তর কাশ্মীরের মাছিল সেক্টরে ভারতীয় সেনার পিকেটে পাকিস্তানি সেনার গুলিতে এক জওয়ান আহত হন।