বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ:
ঘটনা অসমের ডিমা হাসাও জেলার। সেখানে উমরোংসো এলাকার ৮-কিলো গ্রামের ২ বাসিন্দা বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও ৭ জন। এই ৭ জন ভর্তি স্থানীয় হাফলং সিভিল হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ এপ্রিল তিনটি ভিন্ন পরিবারের ৯ জন ফিরছিলেন পাথর খাদান থেকে। তাঁরা ৮-কিলো গ্রামের বাসিন্দা। ফেরার পথে জঙ্গল থেকে তাঁরা কিছু মাশরুম নিয়ে আসেন বাড়িতে। বাড়ি ফিরে তা রান্না করে খেতেই ঘটে যায় বিপত্তি। শুরু হয় অস্বাভাবিক বমি। মুহূর্তে সকলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মানিক কুর্মি ও সুজিতা তামাং মারা যান। বাকি ৭ জন প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক কল্পনা কেম্প্রাই নামে একজন। আরও পড়ুন-গ্রীষ্মের তাপে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে! কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
অসুস্থদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি একজন জানিয়েছেন, যে মাশরুম তাঁরা নিয়ে এসেছিলেন তার রঙ ছিল সাদা। আর তা সাধারণ খাবার যোগ্য মাশরুমের মতোই দেখতে ছিল। ফলে তাঁরা বুঝতে পারেননি যে তা বিষাক্ত। তবে তিনি জানান, রান্না করে খাওয়ার পরই শুরু হয় শারীরিক কষ্ট। এর আগে ১৪ এপ্রিল বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে অসমের চরাইদেও চা বাগানের ৩৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের অসম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান।
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব গত কয়েক বছরে বিষাক্ত মাশরুম খাওয়ার পরে মানুষ মারা যাওয়া এবং অসুস্থ হওয়ার সাথে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। ২০২০ সালের মে মাসে, মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পার্বত্য জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বন্য মাশরুম খাওয়ার পরে কমপক্ষে ছয় জন মারা গিয়েছিলেন, যা পরে বিশেষজ্ঞরা ‘আমানিতা ফ্যালোয়েডস’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন, যা সাধারণত ‘ডেথ ক্যাপ’ নামে পরিচিত।