প্রতিবছরই অমরনাথ যাত্রার উপর নজর থাকে জঙ্গিদের। এই যাত্রায় হামলার ছক কষে পাক জঙ্গিরা। এবছরও একই ভাবে হামলার ছক কষেছিল পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা। তবে সেই নাশকতার ছক বানচাল করে দেয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে পাকিস্তান থেকে এ দেশে ঢোকা দুই জঙ্গিকে খতম করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। গুলির লড়াইতে এক স্থানীয় ব্যক্তি ও এক পুলিশককর্মীও জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আইজিপি কাশ্মীর একটি টুইট করে ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, পাকিস্তানের হ্যান্ডেলাররা লস্কর-ই-তৈবার দু’জন পাকিস্তানি জঙ্গি ও একজন স্থানীয় জঙ্গি আদিল হুসেন মীরকে পহেলগাম-অনন্তনাগে পাঠিয়েছিল৷ সোপোর এনকাউন্টারে এই জঙ্গি দলের সঙ্গেই লড়াই হয়েছিল। তখন তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। সেই জঙ্গি দলকেই গতকাল খতম করা হয়৷ আমরা সেই জঙ্গিদের গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখছিলাম৷ অমরনাথ যাত্রার উপর হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করে ২০১৮ সাল থেকে তারা পাকিস্তানে ছিল৷
এনকাউন্টারে মৃত জঙ্গিদের নাম, আবদুল্লাহ গুজরি ও আদিল হুসেন মীর৷ গুজরি পাকিস্তানের ফয়জালাবাদের বাসিন্দা৷ আদিল অনন্তনাগে থাকতেন৷ ২০১৮ সালে ওয়াঘা পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল আদিল৷ প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা অমরনাথ যাত্রা। তার আগে এই জঙ্গি দমন অভিযান বড় সাফল্য পুলিশের কাছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেভাবে কাশ্মীরে পরপর সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা চলছে, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।