সকাল থেকেই নিখোঁজ দুই ভারতীয় হাইকমিশন কর্মী। ইসলামাবাদ জুড়ে চাঞ্চল্য। তার রেশ এসে পড়ল নয়াদিল্লিতেও। পাকিস্তানের হাইকমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে কড়া ভাষায় বার্তা দিল ভারত। প্রায় সাত ঘণ্টার টানাপোড়েনের পর অবশেষে দুই ভারতীয় কর্মীকে ছেড়ে দিল পাকিস্তান। যদিও তাদের শরীরে ক্ষতের দাগ স্পষ্ট, জানতে পেরেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতীয় হাইকমিশন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে ইসলামাবাদ সেক্রেটরিয়েট পুলিশ স্টেশনে আটক ছিলেন এই দুই কর্মী। সেখানেই ভারতের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়। এই দুই কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে কতটা ক্ষত হয়েছে ও কীভাবে হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য।
সকাল থেকে ভারত যখন বলছে যে তাদের দুই কর্মী নিখোঁজ তখন কিছু সদুত্তর দিতে পারেনি পাকিস্তান। দেখছি, দেখব, এই করে চলছিল। অবশেষ সাত ঘণ্টা পরে আচমকাই দুর্ঘটনার তত্ত্ব খাড়া করেছে ইসলামাবাদ। তাদের দাবি এই কর্মীদের একটি দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
পাকিস্তানের দাবি যে এই দুই কর্মী-একজন সিআইএসএফ গার্ড ও আরেকজন ড্রাইভার বিএমডবলু চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হাই কমিশন থেকে বেরোনার পরেই তারা অ্যাক্সিডেন্ট করেন যেখানে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, গাড়ি করে চম্পট দেওয়ার তালে ছিলেন দুই ভারতীয়। কিন্তু স্থানীয় লোকেরা তাদের আটকে দেয় ও পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এই রকম ঘটনা মিডিয়াতে দেখার পরেই পাকিস্তানের প্রতিনিধিকে নয়াদিল্লি ডেকে পাঠায়। ডাকা হয় ভারতে বর্তমান পাকিস্তানের দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফসার সৈয়দ হায়দার শাহকে। তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাকিস্তানি সরকারের।
বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে হায়দার শাহকে সোজাসুজি বলে দেওয়া হয় কোনও রকম ভাবে যেন হেনস্তা বা প্রশ্নের মুখোমুখি না হন দুই ভারতীয় দূতাবাস কর্মী। সরকারি গাড়ি সহ দুই ব্যক্তিকে দ্রুত হাইকমিশনে পাঠাতে বলা হয় পাকিস্তানকে।
যেভাবে গত সপ্তাহে পাকিস্তানের তিন আধিকারিককে চরবৃত্তির অভিযোগে হাতেনাতে ধরা হয়েছিল নয়াদিল্লিতে ও তাদের রাতারাতি দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তারই এটা প্রত্যাঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই দুই কর্মীকে বিষদে প্রশ্ন করলেও পুরো সত্য উদঘাটন হবে বলে মনে করছে ভারতীয় শিবির।