ভিড়ের মধ্যে বিশেষ করে বিয়েবাড়ি হোক বা বাজার, পার্ক প্রভৃতি জায়গায় মোবাইল ফোন চুরি থেকে শুরু করে কেপমারির ঘটনা সাধারণ বিষয়। শুধু সাধারণ মানুষ নন, অনেক সময় ভিআইপি ব্যক্তিদেরও মোবাইল বা অর্থ চুরি হয়ে থাকে। আর এবার মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দুটি মোবাইল চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চুরি যাওয়া ফোনের IMEI নম্বর বদলে ফেলছে চালাক চোরের দল, জেরা করতেই চোখ কপালে!
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুনিতা আগরওয়াল মুসৌরি রোডে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানেই তাঁর দুটি ফোন চুরি যায়। ঘটনায় হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই মামলার তদন্ত শুরু করেছে রাজপুর থানার পুলিশ।
তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ জানুয়ারি গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুনিতা আগরওয়াল দেরাদুনের নিউ মুসৌরি রোডের মালসিতে ফুটহিল গার্ডেন গিয়েছিলেন। বিকেল ৪.৪৫টা থেকে ৫.১৫ টার মধ্যে ওই বিয়ে বাড়িতে তাঁর দুটি আইফোন চুরি হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি ফোন প্রধান বিচারপতির নামে এবং অন্যটি রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
রাজপুর থানার ওসি পিডি ভাট জানিয়েছেন, গুজরাট হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুলচাঁদ ত্যাগী অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে, প্রধান বিচারপতির চুরির বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এই সময় তদন্তে চোরকে ধরা যায়নি। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নজরদারির মাধ্যমে মোবাইল ফোন চুরি করা ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাইকোর্টে শুনানির সময় এক আইনজীবীর সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিকে জড়িয়ে পড়েছিলেন গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। আদালতে তাঁর আচরণের সমালোচনা করেছিলেন আইনজীবী ব্রিজেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেছিলেন, ‘আদালতের প্রবীণ আইনজীবীরা তাঁর আচরণে অতিষ্ঠ। বিষয়টি যখন আরও বাড়তে থাকে। এরপরই আদালত ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি।