এবার কুলগাম। আবারও জম্মু ও কাশ্মীরে দুই ভিনরাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা। আহত হয়েছেন আরও একজন। তারপরই অবিলম্বে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের নিকটবর্তী নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্পে আনার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রবিবার কুলগামের ওয়ানপো এলাকায় শ্রমিকদের ভাড়াবাড়িতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। নির্বিচারে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। ইতিমধ্যে পুরো এলাকায় ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের তরফে টুইটারে বলা হয়েছে, ‘কুলগামের ওয়ানপো এলাকায় ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। সেই জঙ্গি হামলায় ভিনরাজ্যের দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। একজন আহত হয়েছেন।’
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, রবিবারের হামলায় রাজা রেশি এবং জোগিন্দর রেশি দেবের মৃ্ত্যু হয়েছে। চুনচুন রেশি দেব আহত হয়েছেন। তাঁরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। শনিবার যে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। অপরজন আদতে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে কাশ্মীরে থাকতেন। তারইমধ্যে কাশ্মীরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন বিহারিকে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নীতিশ কুমার।
সেই পরিস্থিতিতে উপত্যকার ১০ টি জেলার পুলিশের উদ্দেশে একটি বার্তায় পুলিশের আইজি (কাশ্মীর) বিজয় কুমার নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনাদের আওতাভুক্ত এলাকার সমস্ত ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের অবিলম্বে নিকটবর্তী থানা বা আধা-সামরিক বাহিনী বা সেনার জায়গায় নিয়ে যান। এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়ার দিকেই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জম্মু ও কাশ্মীরে পরপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। গুলিতে মৃত্যু হয় তিন সাধারণ নাগরিকের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত মাখনলাল বিন্দ্রু। যিনি শ্রীনগরে বিখ্যাত ওষুধ দোকান বিন্দ্রু মেডিকেটের মালিক। এছাড়াও বীরেন্দর নামে ওই ব্যক্তি ভেলপুরি বিক্রেতা এবং মহম্মদ শাফি নামে স্থানীয় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সভাপতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপর শ্রীনগরের ইদগাহ এলাকায় ছেলেদের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে মধ্যেই ছিলেন প্রধান শিক্ষক সীতন্দর কৌরি এবং শিক্ষক দীপক চাঁদ। সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের।