বছরের প্রথম দিনে দিল্লিতে এক তরুণীকে ধাক্কা মেরে একটি গাড়ি বহুদূর টেনে নিয়ে গিয়েছিল। পরে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। হাড়হিম করা ঘটনা। রাজধানীর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। এনিয়ে দিল্লি পুলিশ সোমবার আদালতে জানিয়েছে তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, গাড়ি থেকে নেমে তারা দেখেছিল গাড়ির নীচে কিছু একটা আটকে রয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আশুতোষ জামিনের জন্য় আবেদন করেছিল। অ্য়াডভোকেট শ্লীল্পেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, যে ধারা আশুতোষের বিরুদ্ধে লাগু করা হয়েছে তা জামিনযোগ্য। তাছাড়া সে পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করছে।
এদিকে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট সান্যা দালাল দিল্লি পুলিশের কাছে জানতে চায় ৭দিনের পুলিশ হেফাজতে ঠিত কী পাওয়া গেল। এনিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে একজন গাড়ি থেকে নেমে দেখেছিল কিছু একটা আটকে গিয়েছে গাড়িতে।
পাশাপাশি পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ২০জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও নেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন একেবারে সব ফুটেজ সংগ্রহ না করে কেন ধাপে ধাপে ফুটেজ নেওয়া হচ্ছে? তদন্তকারী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রথমে সহযোগিতা করছিল না। পরে তাকে নির্দিষ্ট রুটে নিয়ে যাওয়া হয়। কোথা দিয়ে গাড়িটি গিয়েছিল সেটা জানার চেষ্টা করা হয়। সেখান থেকেই ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট চৌধুরী উল্লেখ করেন, পুলিশ কোর্টকে বিভ্রান্ত করছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ৫জন খাবার খাচ্ছে। তার মধ্যে একজনের নাম সলিল। তাকে বার বার পুলিশ জেরা করার জন্য এনেছে। আশুতোষের প্রতিবেশীর সঙ্গেও পুলিশ কথা বলেছে। সেখানে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন সেই রাতে আশুতোষ তাদের সঙ্গে ছিলেন।
তবে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন,কেউ আদালতকে বিভ্রান্ত করছে না। সব দিক বিবেচনা করে আদালত ৬জন অভিযুক্তকে ১৪দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
এদিকে ১লা জানুয়ারি দিল্লির বুকে ওই ভয়াবহ ঘটনা নাড়়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। পুলিশ প্রথমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল। দিল্লি পুলিশ পরে আশুতোষ আর অঙ্কুশ খান্নার নাম যুক্ত করে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবরণ দেওয়া ও অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ ওঠে। আশুতোষকে পরে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।