সত্যি হল আশঙ্কা। ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা শুরুর প্রথম দু'দিনে দুই যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলল।
লকডাউন শুরুর পর সোমবারই যাত্রীবাহী ঘরোয়া পরিষেবা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দিনেই দুই যাত্রীর শরীরে করোনার হদিশ মিলেছে। একজন ইন্ডিগোর বিমানে গিয়েছিলেন এবং অপরজন এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে সওয়ারি হয়েছিলেন।
ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, ওই যাত্রী ৬ই ৩৮১ চেন্নাই-কোয়েম্বাত্তুর বিমানে ছিলেন। তাঁকে কোয়েম্বাত্তুরের ইসিআই হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই উড়ানের সব কর্মীদের ১৪ দিনের জন্য বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের আশ্বস্ত করে একটি বিবৃতিতে ইন্ডিগোর তরফে বলা হয়েছে, 'অন্যদের মতো মাস্ক, ফেস শিল্ড এবং গ্লাভস-সহ সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে উড়ানে বসেছিলেন ওই যাত্রী। তাঁর কাছাকাছিও কেউ বসেননি। যা সংক্রমণের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। সংশ্লিষ্ট উড়ানের কর্মীদের ১৪ দিনের জন্য বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের যাত্রী এবং কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী অন্য যাত্রীদের জানানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছি আমরা।'
তারই মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবার দিল্লি-লুধিয়ানা বিমানের এক যাত্রীর শরীরেও করোনার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জাতীয় উড়ান সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ দিল্লি-লুধিয়ানা এআই৯১৮৩৭ বিমানের এক যাত্রীর শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। পেড টিকিটে যাচ্ছিলেন অ্যাল্যায়েন্স এয়ারের সুরক্ষা বিভাগে কর্মরত ওই যাত্রী। উড়ানের সব যাত্রীদের রাজ্যের কোয়ারেন্টাইন (কেন্দ্রে) রাখা হয়েছে।’