শনিবার রাতে এক আততায়ীর বেপরোয়া হামলায় রক্তাক্ত হল কানাডার কিউবেক শহরের রাস্তা। আনুমানিক ২০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক মধ্যযুগীয় ধাঁচের পোশাক পরে এদিন রাস্তায় বেরিয়ে তলোয়ার নিয়ে লোকজনকে কোপাতে থাকে। এ ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কমপক্ষে ৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১টা নাগাদ সন্দেহভাজন ওই যুবককে হেফাজতে নেয় পুলিশ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিউবেক শহরের ঐতিহাসিক হোটেল চ্যাটো ফ্রন্টেনাকের সামনে এই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে ধৃত ব্যক্তি। কিন্তু এর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এই কিউবেক প্রদেশে মূলত ফরাসী ভাষাভাষির লোকজন বসবাস করেন। আর এদিনের ঘটনার দিন তিনেক আগেই ফ্রান্সের ঐতিহাসিক নোতর দাম গির্জায় গলা কেটে এক মহিলাকে খুন করে এক যুবক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন আরও ২ জন। তার জেরে ফ্রান্সের হয়ে কিউবেকের বহু বাসিন্দা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভও দেখান। তাই ফ্রান্সের ঘটনার সঙ্গে কানাডার কিউবেকের এই নৃশংস ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এ ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের আপাতত ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কিউবেক পুলিশ। পার্লামেন্ট হিল এলাকা এড়িয়ে যেতে সতর্ক করা হয়েছে বাসিন্দাদের। পুলিশের তরফ থেকে ফরাসি ভাষায় টুইট করে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে, যাতে তাঁরা তালা বন্ধ করে ঘরেই থাকে। অন্তত তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।