বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভে একের পর এক হাতির মৃ্ত্যু কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছিল এলাকায়। অন্তত দশটি হাতির মৃত্যু হয়েছে গত তিনদিনে। এরপর মৃত হাতির ভিসেরা পরীক্ষার পরে দেখা যায় যে তাদের পাকস্থলীতে বিষ জাতীয় কিছু রয়েছে।
এরপর শনিবার সেই বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানের ঠিক বাইরে হাতির হানায় মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। তারা প্রাতঃকৃত্য সারতে জঙ্গলের ধারে গিয়েছিলেন। আর তখন হাতি পিষে মারে তাদের। একজন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আসলে একের পর এক হাতির বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর বদলা নিল ওই দাঁতাল। এবার সুযোগ পেয়ে মানুষকে পিষে মারল।
গত তিনদিন ধরে বান্ধবগড়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু হচ্ছিল। অন্তত ১০টি হাতির মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ার জেরে। আর এবার সেই ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে হাতির হানায় মৃত্যু হল দুজনের।
কার্যত প্রতিশোধ নিল হাতিরা। তাদের সঙ্গীদের হারাতে হয়েছে। তারই কি বদলা নিল হাতি?
তবে আধিকারিকদের ধারণা যে হাতি দুজনকে পিষে মেরেছে তারা একই দলের। এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
দশটা হাতির মৃত্যুর পেছনে অন্যতম কারণ বিষক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে। ছত্রাক হয়ে গিয়েছিল বাজরাতে। আর সেই বিষাক্ত বাজরা খেয়ে ফেলেছিল হাতির দল। তারপরই শরীরে বিষের প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে ১৩টি হাতির দল ছিল। তার মধ্যে ১০টি হাতির মৃত্যু হয়েছে।
তবে বনদফতর ঘটনার পর থেকেই সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে। দ্রুত ওই শস্য সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই শস্য খেয়েই হাতির দলের যত বিপত্তি।
এদিকে ঘটনার পরেই ৩০জন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীর টিম কাজে নেমে পড়ে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল, ন্যাশানাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটি ইতিমধ্য়েই তদন্তে নেমে পড়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে শস্যে বিষ মেশানো হয়েছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।
হায়দরাবাদ ও বেরেলির বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁরা কাজ করছেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ১৩টি হাতির দল ছিল। তার মধ্য়ে ১০টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গলে তিনটি হাতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। তাদের উপর বিষক্রিয়ার কোনও প্রভাব পড়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে।
৯টি হাতির দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।