প্রায় একমাস পেরিয়ে গেল। বিএসএফ অ্যাকাডেমি থেকে দু’জন মহিলা কনস্টেবল নিখোঁজ হয়েছেন। এখন তাঁদের কোনও হদিশ মেলেনি। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোয়ালিয়রের তেকনপুর অ্যাকাডেমিতে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আন্তর্জাতিক সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় খুঁজেও কোনও লাভ হয়নি। ওই দুই মহিলা বিএসএফ কনস্টেবলের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু দু’জন মহিলা বিএসএফের কনস্টেবল নিখোঁজ হয়ে গেল ওই অ্যাকাডেমি থেকে, কেউ বুঝতেও পারল না? উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে যে দু’জন মহিলা কনস্টেবল বিএসএফের অ্যাকাডেমি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন রয়েছেন বাংলার। সুতরাং বিষয়টি অনেকদূর পর্যন্ত যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা। এই খবর তাঁর কানে পৌঁছলে চরমে উঠবে ক্ষোভ। জব্বলপুরের আকাঙ্খা নিখর এবং মুর্শিদাবাদ জেলার শাহানা খাতুন বিএসএফের গোয়ালিয়রের তেকনপুর অ্যাকাডেমি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁদের কোনও সন্ধান মিলছে না। ২০২১ সাল থেকে এই দুই মহিলা কনস্টেবল এই অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং দিতেন। ৬ জুন, ২০২৪ তারিখ থেকে দুই মহিলা কনস্টেবল নিখোঁজ।
আরও পড়ুন: বন্ধ পাহাড়ে যাওয়ার জাতীয় সড়ক, শিলিগুড়ি–দার্জিলিং রুটে টয়ট্রেন থমকে, জারি লাল সতর্কতা
অন্যদিকে এই দুই মহিলা কনস্টেবলকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সূত্রের খবর, ওই দু’জনের মোবাইল ফোনের লোকেশন নানা জায়গা থেকে মিলছে। এমনকী সন্দেহজনক কাজ ঘটছে। ওই লোকেশন ট্র্যাক করতে গিয়ে গোয়েন্দারা দেখতে পান মোবাইল ফোন দুটি নয়াদিল্লি, হাওড়া এবং বহরমপুরে ঘোরাঘুরি করছে। তাই বিএসএফ কর্তৃপক্ষ সেগুলির উপর নজরদারি শুরু করেছেন। ফোন রেকর্ড এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। একাধিক রাজ্যে এই ফোনের লোকেশন মিলছে বলে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। ওই দুই মহিলা কনস্টেবল কি পালিয়ে গেল? স্বেচ্ছায় অ্যাকাডেমি ত্যাগ করলেন তাঁরা? কেন এমন করলেন তাঁরা? নেপথ্যে কি অন্য কোনও কারণ আছে? প্রশ্ন উঠছে।
এছাড়া তদন্তে নেমে জানা যাচ্ছে, ওই দুই মহিলাকে বহরমপুরের বেকন হাসপাতালে দেখা গিয়েছিল ৭ জুন। সেই সিসিটিভি ফুটেজ মিলেছে। হাসপাতালে থাকার সময় ফোন সুইচ অফ ছিল। আকাঙ্খার মা উর্মিলা নিখর গোয়ালিয়র পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল ৫ জুন। তবে কথা বলতে সে ইতস্তত করছিল। উর্মিলা নিখরের অভিযোগ, গোয়ালিয়র পুলিশ তদন্ত করেনি। শুধু একটা নিখোঁজের ডায়েরি লিখে রেখেছে। রহস্যজনকভাবে শাহানার পরিবার কোনও তথ্য দেয়নি উর্মিলা নিখরকে। এখন পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় গোয়ালিয়র পুলিশ সিট গঠন করেছে। এই দুই মহিলা কনস্টেবলকে খুঁজে বের করার কাজ করছে।