উত্তরপ্রদেশের কানপুরের গ্রামীণ এলাকায় দুই দিন আগেই জবরদখলি জমিতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ ও প্রশাসন। সেই অভিযানের সময়ই একটি বাড়িতে আগুন লেগে মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই মহিলার। জানা গিয়েছে, মৃত দুই মহিলা সম্পর্কে মা-মেয়ে। মৃতের নাম প্রমিলা (বয়স ৪৪ বছর) এবং নেহা (বয়স ২১ বছর)। জানা গিয়েছে, মৃত প্রমিলার স্বামী কৃষ্ণ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট (মাইথা) জ্ঞানেশ্বর প্রসাদ সোমবার সকালে পুলিশ ও রাজস্ব দফতরের কর্মীদের নিয়ে গ্রাম সমাজের জমিতে অভিযান চালান। মৈথা তহসিল এলাকার মাদৌলি গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে। (আরও পড়ুন: জামা, ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ফোন নম্বর দিচ্ছেন স্টোরে? সতর্ক হয়ে যান)
কর্মকর্তাদের আনা 'আর্থমুভার' মেশিন খড়ের ঘরসহ বেশ কিছু স্থাপনা ভেঙে ফেলে। সেই সময় প্রমিলা ও তাঁর মেয়ে ভিতরেই আটকা পড়ে আগুনে পুড়ে মারা যান বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এদিকে তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর ভাবে দগ্ধ হয়েছেন কৃষ্ণ কুমারও। এদিকে ঘটনার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপর শত শত গ্রামবাসী ইট-পাটকেল, লাঠি নিয়ে দলে দলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপরই পুলিশ ও প্রশাসনের দলগুলি দ্রুত পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আপাতত প্রচুর সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর লাগবে না সেট টপ বক্স, টিভিতে যুগান্তকারী বদল আনার কথা জানালেন মন্ত্রী
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এডিজি (জোন) অলোক সিং সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেরাই মাইথা তহসিল এলাকার মাদাউলি গ্রামে পৌঁছে যান। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এডিজি অলোক সিং। তবে এখনই ঘটনায় পুলিশের যুক্ত থাকার বিষয় নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। তিনি সাংবাদিকদের ঘটনা প্রসঙ্গে শুধমাত্র বলেন, 'দখল বিরোধী অভিযানের সময় দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে কানপুর দেহাতে। পুলিশ মামলাটি খতিয়ে দেখছে।'