ভারত-পাকিস্তানের শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতাকারী সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এমনটাই বলছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে UAE-র রাষ্ট্রদূত।
অ্যাম্বাসাডর ইউসেফ আল ওটাইবা জানান, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে অ্যাব্রাহাম চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। এই প্রথম UAE-র কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক প্রকাশ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে সেই দেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরলেন।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুভার ইনস্টিটিউশনের আয়োজিত আলোচনায় এমনটা উল্লেখ করেন ইউসেফ। সেখানে UAE-র মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় গতি আনা যায় কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরেই তিনি এমনটা বলেন।
তিনি জানান, এর আগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেই সময়েও মধ্যস্থতাকারীর আসনে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সরকারি আধিকারিকদের দাবি, এই যুদ্ধবিরতী আসলে শান্তি পরিকল্পনার কণামাত্র। ভবিষ্যতেও যাতে দুই পরমাণু-শক্তিধর দেশের মধ্যে শান্তি বজায় থাকে, সেটাই আসল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা (UAE) যেখানেই সম্ভব, দুই দেশের মধ্যে শান্তির পরিবেশ ফেরানোর চেষ্টা করতে প্রস্তুত। ভারত-পাকিস্তান তার নবতম নিদর্শন। এর আগেও এই ধরনের শান্তি প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
এদিকে রয়টার্স সূত্রে খবর, ভারতের RAW ও পাকিস্তানের ISI-এর মধ্যে দুবাইতে জানুয়ারি মাসে গোপনে বৈঠক হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিকের মতে, কাশ্মীরের জটিল পরিস্থিতি নিয়েই সেই বৈঠকে আলোচনা হয়। আর এই বৈঠকে সাহায্য করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সরকার। তবে, এই বিষয়ে এখনও ভারতে সরকারি তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।