কোভিডে আক্রান্ত হলে কর্মীকে যখন ছুটি দেওয়ার নিয়ম নীতি নিয়ে ব্যস্ত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের প্রশাসন তথা বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, তখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে দেখা গেল বিরল চিত্র। সেখানের আজমান প্রশাসন জানিয়েছে, যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা কোভিডে পর পর ২ বার আক্রান্ত হবেন,তাঁদের বেতন কাটা যাবে। উল্লেখ্য, কোভিডে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলেই পড়তে হবে শাস্তির মুখে, এই সতর্কবার্তা আসে আজমান প্রশাসনের তরফে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, আজমান প্রশাসনের কর্মীরা কোভিড আক্রান্ত হলে কোয়ারেন্টাইনের জন্য কোনও 'সিক লিভ' বা অসুস্থতার জন্য ছুটি পাবেন না। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে একটি শর্ত। প্রশাসন বলছে, যদি কাজের জায়গার বাইরে অন্য কোনও জায়গা থেকে সরকারি কর্মী করোনা সংক্রমিত হন, বা অফিসের বাইরে কোনও করোনা রোগীর থেকে তিনি সংক্রমণ বয়ে আনেন দ্বিতীয়বারের জন্য, তাহলেই একমাত্র 'সিক লিভ' পাওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ৯৯ শতাংশ মানুষের কোভিড ভ্যাকসিনেশন হয়ে গিয়েছে। করোনার জেরে মৃতের সংখ্যা ২,২০০ জন। তবে বিশ্ব জোড়া ওমিক্রন ত্রাসের মাঝে আতঙ্ক রয়েছে এই দেশেও। উল্লেখ্য, আরব আমিরশাহীতে ওমিক্রন ঝড় অব্যাহত। দুবাই ও আবুধাবিতে ডিসেম্বরে যেখানে দৈনিক ৫০ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়া খবর মিলছিল, সেখানে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তা প্রতিদিন আড়াই হাজারের ঘরে চলে যায়।
করোনা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য আজ মানের মানবসম্পদ দফতর একাধিক বিধি লাগু করেছেয। করোনাকালে কী কী করা যাবে না, তা নিয়ে রয়েছে বিধি। তারমধ্যে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বার সরকারি কর্মীরা যদি কোভিড আক্রান্ত হন তাহলে কাটা হবে বেতন। এই বেতন কাটছাঁট একদিন থেকে শুরু করে দশদিন পর্যন্ত চলবে। যাঁরা বারবার আক্রান্ত হবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে একাধিক দিনের বেতনে কাটছাঁটের কথা বলা হয়েছে। করোনা বিধির আওতায় যে সমস্ত কাজ বারণ করা হয়েছে , তা হল- কোনও করোনা রোগীর সঙ্গে দেখা করে অফিস যাওয়া যাবে না। কারোর সঙ্গে করমর্দন করা যাবে না। মাস্ক না পরলে চরম শাস্তি। এমনকি এই নজরদারিতে ফাঁকি পড়লে সুপারভাইজারদেরও বেত্রাঘাত কপালে রয়েছে! এই নির্দেশই দিয়েছে আজমান প্রশাসন। বলা হয়েছে, যে সরকারী কর্মচারি দ্বিতীবার কোভিড আক্রান্ত হবেন, তাঁকে বেতন ছাড়া কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে, বা নিভৃত এলাকা থেকে কাজ করতে হবে।